প্রিপেইড কার্ড ইস্যুতে লাগবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমতি
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৫৭ এএম, ৪ আগস্ট ২০২৪ রবিবার
এখন থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমতি ছাড়া কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোনো ধরনের প্রিপেইড কার্ড (প্রিপেইড পেমেন্ট ইনস্ট্রুমেন্টস) ইস্যু বা ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবে না। এ বিধান লঙ্ঘন করলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড হতে পারে।
পরিশোধ, নিকাশ ও নিষ্পত্তি ব্যবস্থা সংহতকরণ, তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে অর্থ লেনদেনের ঝুঁকি হ্রাসকরণ ও গ্রাহক স্বার্থ সংরক্ষণ সম্পর্কিত বিধান প্রণয়নকল্পে সম্প্রতি পরিশোধ ও নিষ্পত্তি ব্যবস্থা বিল-২০২৪ সংসদে পাশ হয়েছে। আইনটি গেজেট আকারে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রিপেইড পেমেন্ট ইনস্ট্রুমেন্টস-সংক্রান্ত কোনো আইন না থাকার কারণে দেশে অনেক অনলাইন প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন ধরনের প্রিপেইড কার্ড চালু করতে দেখা গেছে। এ ধরনের কার্ড ক্রয় করতে যে পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন হয়, তা দিয়ে কেনাকাটা করা যায় দ্বিগুণ বা তিন গুণ অর্থের পণ্য। ফলে বড় ধরনের আর্থিক মুনাফা লাভের আশায় অনেকেই এ ধরনের কার্ড ক্রয় করে থাকেন।
তবে এখন থেকে যে কোনো ধরনের প্রিপেইড পেমেন্ট ইনস্ট্রুমেন্টস ইস্যু করতে হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হবে।
আইনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি 'অগ্রিম পরিশোধ দলিল' ইস্যু, ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া জনসাধারণ থেকে যে কোনো ধরনের বিনিয়োগ গ্রহণ, ঋণ প্রদান, অর্থ সংরক্ষণ বা আর্থিক লেনদেন উদ্ভব হয়, এরূপ কোনো অনলাইন বা অফলাইন প্ল্যাটফর্ম পরিচালনা করা যাবে না।
এছাড়া কোনো ব্যাংক-কোম্পানি বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া কোনো পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ, পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনা বা ইলেকট্রনিক মুদ্রায় পরিশোধ সেবা দিতে পারবে না। একইভাবে কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে লাইসেন্স নেওয়া ছাড়া কোনো পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনা বা পরিশোধ সেবা দিতে পারবে না।
এ বিধান লঙ্ঘনের সাজা হবে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড। এ আইনের অধীনে সংঘটিত অপরাধ আমলযোগ্য, অজামিনযোগ্য এবং অ-আপসযোগ্য হবে।
এএইচ