বাংলাদেশকে সহযোগিতা করে যাবে আইএমএফ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:০৮ এএম, ৯ আগস্ট ২০২৪ শুক্রবার
চলমান পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশকে সহযোগিতা করে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। কঠোর আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। এর পরই সংস্থাটি বাংলাদেশের বিষয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে এমন প্রতিশ্রুতি দেয়।
আইএমএফের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্সের খবরে বলা হয়, আইএমএফ বাংলাদেশের ঘটনাবলির দিকে নজর রাখছে।
‘প্রাণহানি ও মানুষের আহত হওয়ার ঘটনায়’ তারা গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছে। ই-মেইলে পাঠানো ওই বিবৃতিতে মুখপাত্র আরো বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ ও দেশটির মানুষের প্রতি সম্পূর্ণ অঙ্গীকারবদ্ধ।’ দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির চেষ্টাকে সমর্থন করার কথাও জানায় তারা।
আইএমএফ গত বছরের জানুয়ারিতে ৪৭০ কোটি ডলারের একটি ঋণ অনুমোদন দেয়।
উদীয়মান বাজার বিশেষজ্ঞ টেলিমারের তথ্যানুসারে, আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দেশের জিডিপির প্রায় এক-চতুর্থাংশের সমতুল্য। সুতরাং তাদের সমর্থন দেশটির অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
এদিকে গত সোমবার বিশ্বব্যাংক জানায়, তাদের ঋণের ওপর বাংলাদেশের পরিস্থিতি কী প্রভাব ফেলতে পারে, তা তারা খতিয়ে দেখছে। তবে দেশটির উন্নয়নের ক্ষেত্রে তাদের অঙ্গীকার আগের মতোই আছে বলে জানায় সংস্থাটি।
চলতি অর্থবছরে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে ২৮৫ কোটি ডলার দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে।
বিশ্বব্যাংক আরো জানায়, বাংলাদেশের কোনো বৈদেশিক মুদ্রার বন্ড নেই। দেশটির স্বল্পমেয়াদি ঋণ জিডিপির মাত্র ৫ শতাংশ। সুতরাং আর্থিক বাজারে দেশটির রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব কী পড়ছে, সে সম্পর্কে খুব সীমিত ধারণা পাওয়া যায়। তবে সাম্প্রতিক গণ-আন্দোলনের পেছনে বাংলাদেশের স্থবির অর্থনীতির ভূমিকা রয়েছে।
দেশটির ১৭ কোটি জনগণের মধ্যে তিন কোটি ২০ লাখ তরুণের কাজ অথবা শিক্ষা নেই। মূল্যস্ফীতি প্রায় ১০ শতাংশের কাছাকাছি। যে রিজার্ভ রয়েছে, তা দিয়ে মাত্র তিন মাসের আমদানি দায় মেটানো সম্ভব।
সরকারি চাকরিতে কোটাপ্রথা সংস্কারের দাবিতে গত জুলাইয়ের প্রথম থেকে আন্দোলন করে আসছিলেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
পুলিশ ও আওয়ামী লীগ এবং দলটির সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের হামলায় কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী ও মানুষের মৃত্যু হয়। এ অবস্থায় শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের বিক্ষোভ ও আন্দোলনের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা।
কেআই//