বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি শুরু
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:৫৩ পিএম, ১৩ আগস্ট ২০২৪ মঙ্গলবার
শুরু হলো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সপ্তাহব্যাপী ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’ কর্মসূচি। এতে ঢাবিসহ রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশ নিতে দেখা যায়। এ সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বেলা ৩টা থেকে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি শুরু হয়।
বেলা পৌনে ৪টায় রাজু ভাস্কর্য থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি রাজু ভাস্কর্য-কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি-কলা ভবন-হল পাড়া-ভিসি চত্বর-জগন্নাথ হল-শহিদ মিনার-টিএসসি হয়ে পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে এসে সমবেত হন।
এর আগে একইদিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এক ক্ষুদে বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করে যে রেজিস্ট্যান্স উইক আজ মঙ্গলবার থেকে শুরু হতে যাচ্ছে।
ভোরে আবু বাকের মজুমদার সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করে গণমাধ্যমে এক বিজ্ঞপ্তিতে পাঠান। এতে মঙ্গলবারের কর্মসূচির স্থান ও সময় হিসেবে বিকেল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ নির্ধারণ করা হয়।
এছাড়া ৪টি দাবি হিসেবে উল্লেখ করা হয়। সেগুলো হলো—
১. ফ্যাসিবাদী কাঠামোকে ব্যবহার করে ফ্যাসিস্ট হাসিনা এবং তার দল ও সরকার যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, সেগুলোর দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে।
২. সংখ্যালঘুদের ওপর আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী মহাজোটের শরিক দলগুলোর পরিকল্পিত হত্যা, ডাকাতি ও লুণ্ঠনের মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানকে বিতর্কিত করার প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং সংখ্যালঘুদের ন্যায্য দাবি মেনে নিতে হবে।
৩. প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হামলা, মামলা, এবং হত্যাযজ্ঞকে বৈধতা দিয়েছে এবং ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বারংবার কায়েমের চেষ্টা করছে, তাদের দ্রুততম সময়ে অপসারণ ও নতুন সরকারে তাদের নিয়োগ বাতিল করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
৪. প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা এতদিন বৈষম্যের শিকার হয়েছে, তাদের জন্য দ্রুততম সময়ে সুযোগের সমতা নিশ্চিত করতে হবে।
এমএম//