ঢাকা, বুধবার   ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ৯ ১৪৩১

আয়নাঘরে ভুক্তভোগীদের যে পরামর্শ আইন উপদেষ্টার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৩০ পিএম, ১৪ আগস্ট ২০২৪ বুধবার | আপডেট: ০১:৩১ পিএম, ১৪ আগস্ট ২০২৪ বুধবার

আয়নাঘরে যারা গুমের শিকার হয়েছেন, তাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আসার সুযোগ রয়েছে। তাদেরকে এই সুযোগ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন আইন ও বিচার বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

আজ (বুধবার) আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। 

আসিফ নজরুল বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ঢাকা শহরে যত মিথ্যা এবং প্রতারণামূলক মামলা হয়েছে বৃহস্পতিবারের মধ্যে তা প্রত্যাহার হবে।  আর ৩১ আগস্ট এর মধ্যে সারাদেশের এ ধরনের মামলা প্রত্যাহার করা হবে। 

তিনি বলেন, সাংবাদিকরা তাদের প্রতিবেদনে গায়েবি মামলার প্রমাণ দিলেও দুর্ভাগ্যবশত আমাদের বিচার বিভাগের চোখে তা পড়েনি। কেন পড়েনি, আমি খুব অবাক হতাম। আল্লাহ আমাকে সুযোগ করে দিয়েছেন তা জানার।

উপদেষ্টা বলেন, অবশ্যই গায়েবিসহ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক যত মামলা হয়েছে, তা প্রত্যাহার করে নেব। পরের পদক্ষেপেই আমরা দেখবো।

আয়নাঘরের ভুক্তভোগীদের সহায়তা দেয়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আয়নাঘরে যারা গুমের শিকার হয়েছেন, তাদেরও কথা রয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আসার সুযোগ তাদের রয়েছে। মনে রাখবেন, এই ট্রাইব্যুনালে যে কোনো ব্যক্তি মামলা করতে পারবেন। কাজেই তারা গুমের মামলা করতে পারেন।’

গুমও মানবতাবিরোধী অপরাধের অন্তর্ভুক্ত উল্লেখ করে আসিফ নজরুল আরও বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যে কোনো ব্যক্তি মামলা করতে পারেন। রাষ্ট্রও পারে, ভুক্তভোগীরাও মামলা করতে পারেন। পরে রাষ্ট্রীয়ভাবেও আমরা উদ্যোগ নিতে পারি। এটা নিয়ে আমরা সিরিয়াসলি ভাবিনি। আমরা এখন জুলাই হত্যাকাণ্ডে মনোযোগ দিয়েছি।

‘তবে আয়নাঘরে গুমের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোনোভাবেই এটাকে খাটো করে দেখছি না। অবশ্যই, এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী পরিবারের যে কেউ আমাদের সহায়তা চাইলে, আমরা সেটা করব,’ যোগ করেন আইন উপদেষ্টা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরবর্তী সময়ে সরকার পতনের আন্দোলনে যে ‘গণহত্যা ও গুলিবর্ষণ’ হয়েছে, তার তদন্ত জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন ড. আসিফ নজরুল।

এএইচ