ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

মাঙ্কিপক্স রোধে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে সতর্কতা

বেনাপোল প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১০:২৬ এএম, ১৯ আগস্ট ২০২৪ সোমবার

নতুন ধরনের ভাইরাস মাঙ্কিপক্স রোধে কঠোর সতর্কাবস্থা গ্রহণ করেছে বেনাপোল ইমিগ্রেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ। 

রোববার (১৮ আগস্ট) বিকালে মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের সতর্কতার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল ইমিগ্রেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মরিয়ম খন্দকার। 

কর্তব্যরত কর্মকর্তারা বলছেন, ভারত ফেরত প্রতিটি যাত্রীকে পরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে সংক্রমক এই ভাইরাসে আতঙ্কিত ভারত ফেরত পাসপোর্ট যাত্রীরাও। আতঙ্ক থেকে দূরে নেই বেনাপোল ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট স্বাস্থ্য বিভাগ, ইমিগ্রেশন, কাস্টমস ও বন্দরের কর্মকর্তা কর্মচারিরাও।

ভারত ফেরত যাত্রী শফিক আহমেদ জানান, মাঙ্কিপক্স এ রোগের বিষয়ে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনে কোন যাচাই-বাছাই বা পরীক্ষা করেনি। বাংলাদেশে প্রবেশের পর স্বাস্থ্য ডেস্কে আমার হাত-পায়ে কোন র‍্যাশ (চামড়া ফোলা/ চুলকানি) আছে কিনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

নিঃশ্বাসের মাধ্যমে ছড়ানো নতুন এই ভাইরাসজনিত সংক্রমকের ভয়ে তটস্থ বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন পেশার মানুষ। ভারত ফেরত পাসপোর্ট যাত্রীদের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি আছে কিনা তা পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া গেলেও পরীক্ষা করা হচ্ছে না ভারত থেকে আগত পণ্যবাহী ট্রাকের চালক ও সহকারীদের।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মরিয়ম খন্দকার জানান, আতঙ্কিত না হয়ে সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। ভারত ফেরত প্রতিটি যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। ৭ সদস্যের মেডিকেল টিম এখানে কাজ করছেন। এখনও পর্যন্ত কোন যাত্রীর শরীরে ভাইরাসের উপস্থিতি টের পাওয়া যায়নি। এখানে সর্বোচ্চ সর্তকতা গ্রহণ করা হয়েছে। সকল যাত্রীকে মাক্স ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের পরিদর্শক ওমর ফারুক মজুমদার জানান, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মাঙ্কিপক্সের ব্যাপারে বেনাপোল ইমিগ্রেশনের সকল অফিসার এবং ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াতকারী সকল যাত্রীকে সতর্ক করা হচ্ছে। পাশাপাশি ইমিগ্রেশনে দায়িত্বরত স্বাস্থ্য বিভাগের ডাক্তারাও সকল যাত্রীকে স্ক্যানিং করে যাচাই-বাছাই করছেন। 

এএইচ