টাঙ্গাইলে সাবেক দুই মন্ত্রীসহ ৫৬ জনের নামে হত্যা মামলা
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৪:০৫ পিএম, ১৯ আগস্ট ২০২৪ সোমবার | আপডেট: ০৭:৩৫ পিএম, ১৯ আগস্ট ২০২৪ সোমবার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে স্কুল শিক্ষার্থী মোঃ মারুফ মিয়া নিহতের ঘটনায় সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক ও বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুসহ টাঙ্গাইলের সাবেক ছয় সংসদ সদস্যের নামে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রোববার (১৮ আগষ্ট) রাতে সদর থানায় এ হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতে মা মোছা. মোর্শেদা।
মামলায় ৫৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হোসেন।
মামলার আসামী সাবেক সংসদ সদস্যরা হচ্ছেন, টাঙ্গাইল-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির, টাঙ্গাইল-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন, টাঙ্গাইল-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ, টাঙ্গাইল-৮ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অনুপম শাহজাহান জয়, টাঙ্গাইল ৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও টাঙ্গাইল-৮ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের।
এছাড়া মামলার অন্য আসামীরা হচ্ছেন, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এস এম সিরাজুল হক আলমগীর, আওয়ামীলীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া বড় মনি , টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুজ্জামান সোহেল, সহ সভাপতি আশরাফুজ্জামান স্মৃতি, সাংগঠনিক সম্পাদক জামিলুর রহমান মিরণ, টাঙ্গাইল পৌরসভার ১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আতিকুর রহমান মোর্শেদ, ১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমিনুর রহমান আমিন, ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তানভীর হাসান ফেরদৌস নোমান, ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুল হাসান মামুন, ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান প্রিন্স, টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রৌফ, টাঙ্গাইল সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হোসেন মানিক, কাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট বদিউজ্জামান ফারুক, টাঙ্গাইল এ্যাডভোকেট বার সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শহীদুল ইসলাম শহীদ, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফা, ঘারিন্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক এ্যাডভোকেট, সহ দপ্তর সম্পাদক আনন্দ মোহন দে, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদ মামুন, টাঙ্গাইল জেলা যুবলীগের সভাপতি মাসুদ পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক আবু সাইম বিপ্লব, টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন, টাঙ্গাইল শহর ছাত্রলীগের সভাপতি মীর ওয়াসেদুল হক তানজীল, টাঙ্গাইল জেলা যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক নুর মোহাম্মদ সিকদার মানিক, টাঙ্গাইল পৌরসভার ১১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সালাউদ্দিন হায়দার, ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হেলাল ফকির, ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা সোনা আকন্দ, ১১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আঃ রহিম মিয়া, ১১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা মমিন মিয়া, টাঙ্গাইল পৌরসভার ১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল মামুন বাদশা, টাঙ্গাইল জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাতিনুজ্জামান সুখন, টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক তানভীরুল ইসলাম হিমেল, টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুনসুর, কোদালিয়া গ্রামের কোয়াটার রনি, সাবালিয়া গ্রামের ডন সোহেল, ক্যাম্প সোহেল, রাসেল, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা নবীন, আদি টাঙ্গাইল গ্রামের রাসেল মিয়া, আঃ রহিম মিয়া, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আকরাম হোসেন কিসলু, বেড়াবুচনা গ্রামের মোঃ রুবেল আহম্মেদ, আদি টাঙ্গাইল গ্রামের মোঃ শামীম আল মামুন, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এর পিএস সাজ্জাদ হোসেন সাজু, আওয়ামীলীগ নেতা এ্যাডভোকেট আব্দুর রহিম, সবুজবাগ গ্রামের মোঃ শহীদ মিয়া ও টাঙ্গাইল পৌরসভার ১৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাফিজুর রহমান স্বপনসহ অজ্ঞাতনামা ১৫০-২০০ জন।
টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হোসেন বলেন, নিহত স্কুল শিক্ষার্থী মোঃ মারুফ মিয়া নিহতের ঘটনায় তাঁর মা মোছাঃ মোরশেদা বাদি হয়ে ৫৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।
এএইচ