গার্মেন্টসকর্মী হত্যায় হাসিনাসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:৪৩ পিএম, ২০ আগস্ট ২০২৪ মঙ্গলবার
বৈষাম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর আদাবরে ছাত্র-জনতার মিছিলে গার্মেন্টসকর্মী সোহেল রানাকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) নিহত সোহেলের ভাই ইব্রাহীম ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালতে এ মামলার আবেদন করেন।
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ঢাকার আদাবর থানা পুলিশকে মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের আদেশ দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী এস এম ইবরাহীম খলিল মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, সাবেক সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল ইসলাম খান নিখিল, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান, সাবেক ডিবি প্রধান হারন অর রশিদ, সাবেক যুগ্ম কমিশনার (অপারেশন) বিপ্লব কুমার সরকার ও সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।
মামলায় আরও ৩০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে আবেদন করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ভিকটিম পেশায় একজন গার্মেন্টসকর্মী। দেশব্যাপী কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় আদাবর থানা এলাকায় ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলছিল। সেসময় স্বৈরশাসকের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী পুলিশ, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগসহ অন্যান্য সন্ত্রাসী তথা আসামিরা এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। ভিকটিমসহ ঘটনাস্থলে আসামিদের গুলিতে একাধিক নিহত ও অনেকেই আহত হন।
এসময় গুলিবিদ্ধ হলে ভিকটিম সোহেল রানাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মামলার আবেদনে আরও বলা হয়, ছাত্র জনতার নেওয়া যৌক্তিক দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলছিল। কোন প্রকার উসকানি ছাড়াই ছাত্র-জনতার উপরে নির্বিচারে গুলি চালানো হয়। তৎকালীন অবৈধ প্রধানমন্ত্রী আন্দোলন চলাকালীন তা শক্ত হাতে দমন করার নির্দেশ দেন।
এএইচ