ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

‘বন্যাকবলিত এলাকায় দুর্ঘটনা এড়াতে বিদ্যুৎ বন্ধ`

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:০১ পিএম, ২৪ আগস্ট ২০২৪ শনিবার

বন্যার পানিতে অনেক সময় বিদ্যুৎস্পর্শ হয়ে মানুষ মারা যায়। এ কারণে বন্যাকবলিত এলাকায় দুর্ঘটনা এড়াতে বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তবে প্রাথমিক বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বন্যাকবলিত এলাকায় বিদ্যুৎ লাইন চালু করা হবে বলে জানান তিনি।

শনিবার (২৪ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার পাটুরিয়া এলাকায় ৩৫ মেগাওয়াটের স্পেক্টা সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা জানান জ্বালানি উপদেষ্টা।

এ সময় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, ‘বন্যাকবলিত এলাকা থেকে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা করা হচ্ছে। পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কোথায় কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে এবং কোথায় কী প্রয়োজন তার সমাধান করে বন্যাকবলিত এলাকায় দ্রুতগতিতে বিদ্যুৎ লাইন চালু করা হবে।’

জ্বালানি উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাতে বিগত সময়গুলোতে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি ‍হয়েছে। ২০১০ সালে আইন করার মাধ্যমে কোনো প্রতিযোগিতা ছাড়াই প্রকল্প নেওয়া হতো।

এর মধ্য দিয়ে খাতিরের লোকদের প্রকল্প দেওয়া হতো। আর তাদের ইচ্ছেমতো জ্বালানি বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হতো। আমি বিদ্যুৎ জ্বালানির দায়িত্ব দেওয়ার পর মূল্য নির্ধারণের ক্ষমতা বাতিল করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছি।’
ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘আমাদের দেশে আগে প্রচুর প্রাকৃতিক গ্যাস ছিল।

তখন কিন্তু বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে বলা হতো গ্যাস নেন, গ্যাস নেন। এর মধ্যে গ্যাসের সরবরাহ কমছে। আবার নতুন পাওয়ার প্ল্যান্ট, ফারটিলাইজার প্ল্যান, শিল্পকারখানা এবং বাসাবাড়িতে সংযোগের ফলে প্রাকৃতিকভাবে গ্যাসের চাহিদা বাড়ছে। এখন এমন একপর্যায়ে আসছে নিজেরা নিজেদের গ্যাসের ওপর নির্ভর করতে পারছি না। এখন আমাদের গ্যাস বাইরে থেকে আমদানি করতে হয় এবং সেই আমদানির মূল্যে কিন্তু ডলারে পরিশোধ করতে হয়।’

আমদানি নির্ভরতা কমানোর প্রতি জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এখন থেকে জোর দেওয়া হবে পাওয়ার প্ল্যান্ট বা নবায়নযোগ্য শক্তির ওপর। এই নবায়নযোগ্য শক্তির সুবিধা তো আপনারা জানেন। একবার এটা বসাতে পারলে আর জ্বালানির প্রয়োজন হয় না। কারণ এটা সূর্যের আলোতে চলে। এজন্য আমাদের যেহেতু গ্যাস ও জ্বালানির সংকট আছে এবং দাম ডলারে পরিশোধ করতে হয় তাই আমরা আমদানিতে নির্ভরতা কমাব।’

ফাওজুল কবির আরো বলেন, ‘আমরা জ্বালানিতে সরকারের যে খাত আছে তার সঙ্গে ব্যক্তিগত খাতকে কাজে লাগাব। একটা পার্থক্য থাকবে আগের মতো চেহারা দেখে, খাতির করে আর কাজ হবে না। আপনি প্রতিযোগিতা করবেন, আপনার জ্বালানির দাম যদি কম হয়, ভালো হয় এবং উন্নত হয় তাহলে প্রতিযোগিতা করবেন, আমরা আপনাদের কাছ থেকে জ্বালানি নেব।’

বিদ্যুতের দাম না বাড়ানোর আশা রেখে তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার জনপ্রত্যাশার সরকার। এই সরকার আগের মতো বিদ্যুৎ বা জ্বালানির দাম বাড়াবে না। আগের সরকারের সময় প্রতিযোগিতা না থাকার কারণে ইচ্ছেমতো বিদ্যুৎ বা জ্বালানির দাম বাড়িয়েছে। নানা অজুহাতে গ্রাহকরা বেশি দামে বিদ্যুৎ ক্রয় করেছে। কিন্তু এখন জনপ্রত্যাশার সরকার থাকায় সামনে সেটা আর হবে না। সামনে আমরা স্বল্পদামে বিদ্যুৎ কিনব এবং ভালো মানের বিদ্যুৎ কিনব।’
কেআই//