ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

সময় টিভির সম্প্রচার বিষয়ে আপিল বিভাগের আদেশ মঙ্গলবার

একুশে টেলিভিশ

প্রকাশিত : ০৪:৪১ পিএম, ২৫ আগস্ট ২০২৪ রবিবার

বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সময় টিভির সম্প্রচার সাত দিনের জন্য বন্ধের আদেশ স্থগিত চেয়ে আনা আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে। 

এ বিষয়ে আগামী মঙ্গলবার আদেশ দেবেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এ পর্যন্ত সময় টিভির সম্প্রচার বন্ধ থাকবে।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ বেঞ্চ আদেশের জন্য আজ এই দিন ধার্য করেন।  
সময় টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ জোবায়েরের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। তাকে সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার সাকিব মাহবুব। 

সময় মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম, এডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মোঃ রুহুল কুদ্দুস কাজল। সহযোগিতা করেন এডভোকেট ফারজানা খান নীলা।

ব্যারিস্টার সাকিব মাহবুব সাংবাদিকদের বলেন, সময় টিভির সম্প্রচার চালু থাকুক আমরা এ বিষয়ে আমাদের বক্তব্য পেশ করেছি। বিষয়টি শুনানি শেষে মঙ্গলবার আদেশের জন্য ধার্য রেখেছেন সর্বোচ্চ আদালত। 

সময় টিভি চালু রাখতে আপিলে যাচ্ছে অপরপক্ষ এর আগে গত ২১ আগস্ট বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সময় টিভির সম্প্রচার সাত দিনের জন্য বন্ধের আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন আপিল বিভাগে শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেন চেম্বার কোর্ট। সে অনুযায়ী আজ শুনানি অনুষ্ঠিত হলো। 

গত ১০ আগস্ট গুলশানের সিটি হাউজে সময় মিডিয়া লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সময় টিভির নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক নির্ধারণ করা হয়। পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সময় টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীর পদ থেকে আহমেদ জোবায়েরকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি পরিচালক শম্পা রহমানকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সময় মিডিয়া লিমিটেডের সব কার্যক্রম এখন থেকে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নির্দেশনায় পরিচালিত হবে।

এ অব্যাহতির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ১৪ আগস্ট হাইকোর্ট আবেদন করেন আহমেদ জোবায়ের। 

গত ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের জেরে সৃষ্ট গণঅভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এই খবর সারাদেশে ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ জনতা সময় টিভিসহ বেশ কয়েকটি মিডিয়া কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এতে সাময়িকভাবে সময় টিভি বন্ধ হয়ে যায়। পরে অবশ্য আবারও সম্প্রচারে আসে সময় টেলিভিশন। এরপরই সামনে আসে মালিকানা সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব। শেষ পর্যন্ত তা আদালতে গড়ায়।

সূত্র: বাসস

এসবি/