বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত, দুর্গমাঞ্চলে পৌঁছায়না ত্রাণ
প্রতিনিধিদের খবর
প্রকাশিত : ০৯:১১ এএম, ২৮ আগস্ট ২০২৪ বুধবার
ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও অবনতি হয়েছে নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে। তলিয়ে থাকা এলাকায় পানি বাড়ার সাথে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। দুর্ভোগ বেড়েছে বানভাসি মানুষের। পর্যাপ্ত ত্রাণ পাচ্ছেন না প্রত্যন্ত এলাকার দুর্গতরা। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানি, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও ওষধের সংকট। দুর্যোগ মন্ত্রণালয় বলছে বন্যা উপদ্রুত ১১ জেলায় পানিবন্দি ১২ লাখ ৭ হাজার ৪২৯টি পরিবার।
সপ্তাহ ধরে দেশের ১১ জেলায় চলমান বন্যায় মানুষের দুর্ভোগ ক্রমেই বাড়ছে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও কুমিল্লার বানভাসিরা।
উজানের ঢলের বন্যার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফেনীর ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী, পরশুরাম, ফেনী সদর, দাগনভূঞা ও সোনাগাজী উপজেলা। এসব এলাকায় গত দুই দিনে পানি কিছুটা কমেছে; বুক সমান পানি নেমে এসেছে হাঁটতেু। তবে কমেনি দুর্ভোগ।
জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে এবারের বন্যায় ৮ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আশ্রয়কেন্দ্রে ওঠেন দেড় লাখ মানুষ। পানি কমায় অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে ফিরছেন বাড়িতে।
উজানের পানির চাপ থাকায় নোয়াখালীতে বন্যা পরিস্থিতির কোথাও উন্নতি আবার কোথাও অবনতি হয়েছে। এর মধ্যে জেলা শহর মাইজদীসহ সদর উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় শঙ্কা বাড়ছে বানভাসিদের। রয়েছে ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ।
এদিকে সাগরে অতিরিক্ত জোয়ার থাকায় হাতিয়ার ঘাসিয়ার চর, ঢাল চর, নিঝুম দ্বীপসহ প্রায় সবগুলো চর হাঁট সমান পানিতে তলিয়ে গেছে। জেলার ১ হাজার ১৬৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে ওঠেছেন ২ লাখ মানুষ।
বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে লক্ষ্মীপুরেও। প্লাবিত হয়েছে ৫ উপজেলার ৬০টি গ্রাম। পানি ওঠেছে পৌরসভার বেশির ভাগ এলাকায়। পানি বাড়তে থাকায় আরও নতুন নতুন এলাকাও প্লাবিত হচ্ছে। পানিবন্দি ৮ লাখের বেশি মানুষ। পর্যাপ্ত নৌকা না থাকায় ত্রাণ পাচ্ছেন দুর্গম এলাকার বানভাসিরা।
এদিকে মৌলভীবাজারে বানের পানি নামতে শুরু করায় বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। তবে কমলগঞ্জও কুলাউড়া ও জুড়ি উপজেলায় এখনও পানিবন্দি অনেক মানুষ।
এএইচ