ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

বেদখল ফ্ল্যাট উদ্ধারে সহযোগিতা চাইলেন সংগীতশিল্পী ইভা রহমান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:২৫ পিএম, ২৮ আগস্ট ২০২৪ বুধবার

জোড়পূর্বক দুটি ফ্ল্যাট দখলে নেওয়ার অভিযোগ করেছেন সংগীতশিল্পী ইভা রহমান। অস্ত্রের মুখে সন্তানের জীবননাশের হুমকি দিয়ে এই ফ্ল্যাট দখলে নেওয়া হয় বলে জানান তিনি।এসময় অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তার এই বেদখলকৃত ফ্ল্যাট দুটি উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।

আজ বুধবার (২৮ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর গুলশানের একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলনে ইভা রহমান এ অভিযোগ করেন। এসময় তিনি তিন পাতার একটি লিখিত বক্তব্য সাংবাদিকদের মাঝে পেশ করেন। 

লিখিত বক্তব্যে ইভা রহমান বলেন, ‘ফকির আকতারুজ্জামান আমার গুলশানের দুটি ফ্ল্যাট জোড়পূর্বক দখল করে আছে। আমার বাড়িটির কাজ ডেভেলপার সম্পন্ন করতে পারেনি। কিন্তু আমি নিজ দায়িত্বে আমার বাড়িটির কাজ সম্পন্ন করি। ফকির আকতারুজ্জামান ৪৬ লাখ টাকা করে দুটি ফ্ল্যাটের জন্য ৯২ লাখ টাকা দেয় এবং আমাকে আশ্বস্ত করে যে বাড়ির কাজ শেষ হবার পরে আমাকে বাকি যত টাকা খরচ হয় তা পরিশোধ করে দেবে। কিন্তু আমাকে ও আমার সন্তানকে অস্ত্রের মুখে জীবননাশের হুমকি দিয়ে জোড়পূর্বক ফ্ল্যাট দুটি দখলে নেয়, এমনকি কোন টাকা দিবে না বলে জানিয়ে দেয়।’

ভুক্তভোগী আরও বলেন, ‘২০২১ সালে যখন আমি সোহেল আরমানকে বিয়ে করি, এর কিছুদিন পরে পুনরায় ফকির আকতারুজ্জামানের নেতৃত্বে আমার ফ্ল্যাট দুটি দখল করার জন্য কাউন্সিলর মফিজুল ইসলাম ও তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রিপনসহ আরো পঞ্চাশ থেকে ষাট জন আমার বাড়িতে হামলা করে। যদি আমরা বাড়ি ছেড়ে না যাই তাহলে আমাকে ও আমার স্বামী সোহেল আরমানকে মেরে ফেলবে। আমি বাড়ি ছাড়তে অনীহা প্রকাশ করায় ফকির আকতারুজ্জামানের পক্ষ থেকে হুইপ নজরুল ইসলাম বাবু ও এমপি শামীম ওসমান আমাকে ফোন দিয়ে বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলে এবং বাড়িটি ফকির আকতারুজ্জামানের নামে লিখে দেওয়ার জন্য হুমকি দেয়। এ ব্যাপারে ড. কাজী এরতেজা হাসানের সাহায্য চাইতে গেলে সেও আমাকে জীবননাশের হুমকি দিয়ে অর্থ আদায় করে। এমনকি আমাকে বলে, ফকির আকতারুজ্জামান আমাদের বস। জীবন বাঁচাতে চাইলে বাড়িটি ফকির আকতারুজ্জামানের নামে লিখে দিয়ে দেশ ছেড়ে চলে যেতে।’

ইভা রহমান আরও বলেন, ‘ফকির আকতারুজ্জামান ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনার খুব কাছের লোক হওয়ায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ যত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আছে সব জায়গায় বিষয়টি জানালেও কোন প্রতিকার পাইনি। উল্টো ফকির আকতারুজ্জামান আমাকে ও আমার পরিবারকে জীবননাশের হুমকি এবং বিভিন্ন মিথ্যা মামলার ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। এমতাবস্থায় আমি ও আমার পরিবার জীবন বাঁচানোর জন্য তিন মাস বাড়িতে না থেকে বাড়ির বাইরে পালিয়ে থাকি। এই সময়ে আমার ছেলে স্কুলে যেতে পারেনি।’

সংগীতশিল্পী ইভা রহমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে বলেন, ‘আমি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ সকল ছাত্র সমন্বয়কদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, আওয়ামী লীগের অর্থ মজুতকারী ও ভূমিদস্যু ফকির আকতারুজ্জামানসহ স্বৈরাচারের অর্থ লুণ্ঠনকারী দোসরদের আইনের আওতায় এতে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে আমার ফ্ল্যাট দুটি আমাকে বুঝিয়ে দেওয়া হোক।’