ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ে শান্তকে ড. ইউনূসের ফোন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:৩৩ পিএম, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৫:০৯ পিএম, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ মঙ্গলবার

পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জয়ের পর জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়।

দ্বিতীয় টেস্টে পাকিস্তানের দেওয়া ১৮৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু পায় বাংলাদেশ। গতকাল বৃষ্টিতে শেষ সেশন নষ্ট হওয়ার আগে বিনা উইকেটে ৪২ রানে চতুর্থ দিন শেষ করেছিলেন দুই ওপেনার জাকির হাসান ও সাদমান ইসলাম।

আজ অবশ্য গত দিনের সুরটা দীর্ঘ করতে পারেননি তারা।
দলীয় খাতায় ১৬ রান যোগ করার পরেই ফিরতে হয় জাকিরকে। ব্যক্তিগত ৪০ রানে মীর হামজার গুড লেন্থের বলে বোল্ড হন বাংলাদেশি ওপেনার।

সতীর্থর দেখানো পথে দ্রুত ফেরেন আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম।

ব্যক্তিগত ১৭ রানে জীবন পাওয়ার পর সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। ২৪ রান করে খুররম শেহজাদের বলে ড্রেসিংরুমে ফেরেন। ৭০ রানে ২ উইকেট হারিয়ে কিছুটা ধাক্কা খাওয়া বাংলাদেশকে পথ দেখান মমিনুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্ত। দুজনে তৃতীয় উইকেটে ৫৭ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশের জয়ের ভিত গড়ে দেন।

দ্বিতীয় সেশন শুরু হতেই ব্যক্তিগত ৩৮ রানে ফিরে যান বাংলাদেশের অধিনায়ক শান্ত। দারুণ শুরু করা মমিনুলও ফেরেন ৩৪ রানে।    
জয়ের বাকি কাজটুকু পরে সারেন মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসান। দলকে ৬ উইকেটের জয় এনে দিয়ে মাঠ ছাড়েন তারা। মুশফিকের ২২ রানের বিপরীতে ২১ রানে অপরাজিত থাকেন সাকিব।

ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ে দলীয় পারফরম্যান্সে প্রদর্শন করেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টেস্টেই যেমন ২৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে প্রথম ইনিংসে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল বাংলাদেশ। সেখানে থেকে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করে দলকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ এনে দেন লিটন দাস। অবশ্য ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি করা লিটনের অবদান শুধু বললে ভুল হবে। প্রথম ইনিংসে বোলিংয়ে ৫ উইকেট নেওয়া মেহেদী হাসান মিরাজের কথাও বলতে হবে। ৭ম উইকেটে লিটনের সঙ্গে ১৬৫ রানের জুটি না গড়লে দ্বিতীয় টেস্টে জয় পাওয়াটা হয়তো হতো না। ৩০ রানের নিচে ৬ উইকেট হারিয়ে ৭ম উইকেট জুটিতে যা বিশ্বরেকর্ড। বিশ্বরেকর্ড গড়ার পথে ৭৮ রানের ইনিংস খেলেছেন মিরাজ।

মিরাজ-লিটনের দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনের পর বাংলাদেশের জয়ের কাজটা সহজ করে দেন পেসাররা। পাকিস্তানকে ১৭২ রানে দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট করে। প্রথমবারের মতো টেস্ট ইনিংসে ১০ উইকেটের সবকটি নিয়েছেন বাংলাদেশের পেসাররা। প্রতিপক্ষকে অল্প রানে অলআউট করার পথে হাসান মাহমুদ বাংলাদেশের প্রথম পেসার হিসেবে পাকিস্তানের মাঠে ৫ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়েছেন। বাকি ৫ উইকেটের ৪ টি নাহিদ রানা এবং অন্যটি তাসকিন আহমেদ পেয়েছেন। এর আগে রাওয়ালপিন্ডিতেই প্রথম টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি করেন সাদমান ও মুশফিকুর রহিম।
কেআই//