মনিপুরে সাবেক মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে রকেট হামলা, নিহত ১
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৩৪ পিএম, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ শনিবার
নতুন করে আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে ভারতের মণিপুর। রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িসহ দুটি স্থানে রকেট হামলা চালিয়েছে বিদ্রোহীরা। এ ঘটনায় একজন নিহত এবং অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। চলমান এ উত্তেজনার মধ্যে শনিবার রাজ্যের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
শুক্রবারের রকেট হামলার পরপরই রাজ্যজুড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে এবং হামলাকারীদের ধরতে চলছে চিরুনি অভিযান।
দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া'র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গেলো কয়েকদিন ধরে কয়েক দফায় ড্রোন ব্যবহার করে হামলা চালিয়ে আসছিলো বিদ্রোহীরা। এরমধ্যে গতকাল চলতি বছরের প্রথম রকেট হামলা চালানো হলো।
অতীতে এমন রকেট হামলার নজির থাকলেও, ভারতের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের ইতিহাসে আগে কখনও এত ব্যাপক পরিমাণে ড্রোন হামলা চালায়নি কোনো বিদ্রোহী গোষ্ঠী।
মণিপুর পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে স্থানীয়ভাবে তৈরি একটি লঞ্চার ব্যবহার করে ময়রাং শহরে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মাইরেম্বাম কোইরেং সিংয়ের বাড়িতে রকেট হামলা চালানো হয়। রকেটটি সাবেক মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সীমানায় আঘাত হানে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বাড়ি থেকে কয়েক ইঞ্চি দূরে রকেটটি আছড়ে পড়ে। এ ঘটনায় ৭২ বছর বয়সী কে রাবেই সিং নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া সাবেক মুখ্যমন্ত্রীর পাঁচ আত্মীয় আহত হয়েছেন।
এর আগে শুক্রবার ভোরে বিষ্ণুপুর জেলার ত্রংলাওবি গ্রামে আরও রকেট হামলা চালানো হয়। সেখানে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
এনডিটিভি'র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কুকি বিদ্রোহীরা এসব হামলা চালিয়েছে।
কুকি জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত চূড়াচাঁদপুরের পাহাড় থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরের কোনো এলাকা থেকে রকেটগুলো ছোড়া হয় বলে জানিয়েছেন এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা।
মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং বলেছেন, ড্রোনের ব্যবহার প্রমাণ করে যে রাজ্যে ত্রাসের আবহাওয়া তৈরি হয়েছে এবং সন্ত্রাসী হামলা চলছে।
রাজ্যজুড়ে নিরাপত্তা বাহিনী উচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিস্ফোরক বহনকারী ড্রোন ব্যবহার করে আক্রমণের বিষয়টি তদন্তের জন্য পুলিশ, সেনাবাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ১৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই কমিটির প্রতিবেদন জমা দেবার কথা রয়েছে।
এর আগে ২০২৩ সালের মে মাসে মূলত হিন্দু ধর্মাবলম্বী ও সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেই সম্প্রদায়ের সঙ্গে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী কুকি সম্প্রদায়ের সংঘাত শুরু হয়। এই সাম্প্রদায়িক সংঘাতে এ যাবত অন্তত ২০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
কেআই