ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ৪ ১৪৩১

পরিবারসহ বেসিক ব্যাংকের বাচ্চুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:৫৩ পিএম, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৪:০৬ পিএম, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ বৃহস্পতিবার

বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চু ও তার পরিবারের চার সদস্যের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত। দুদকের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে আবদুল হাই বাচ্চুসহ পলাতক পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালত এই আদেশ দেন।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন। 

পরোয়ানা জারি হওয়া অপর আসামিরা হলেন- বাচ্চুর স্ত্রী শিরিন আক্তার, তার ভাই শেখ শাহরিয়ার পান্না, বাচ্চুর ছেলে শেখ রাফা হাই ও শেখ ছাবিদ হাই অনিক।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মীর আহমেদ আলী সালাম।

তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের মামলায় গত বছরের ২ অক্টোবর আবদুল হাই, আমিন আহমেদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। এর মধ্যে আমিন আহমেদ জামিনে আছেন। এ ছাড়া আবদুল হাই ও তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছেন। 

আদালত দুদকের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে পলাতক আবদুল হাইসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন।

এর আগে ২০২৩ সালের ৩ অক্টোবর দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক নুরুল হুদা বাদী হয়ে মামলা করেন। তদন্ত শেষে গত ৫ জুন দুদকের সহকারী পরিচালক নেয়ামুল হাসান গাজী আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

গত বছরের ১৫ নভেম্বর বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির ঘটনায় জড়িত শেখ আবদুল হাই ওরফে বাচ্চু ও তাঁর পরিবারের চার সদস্যের সম্পদ জব্দের (ক্রোক) আদেশ দেন ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত।

মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, আসামি শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু ২০১২ সালের ৮ জুলাই ক্যান্টনমেন্ট বাজার এলাকার ৬ নম্বর প্লটের ৩০.২৫ কাঠা জমি ১১০ কোটি টাকায় ক্রয়ের জন্য চুক্তি করেন। এই চুক্তি করা জমির মূল্য ১১০ কোটি টাকা ও চুক্তিপত্র স্বাক্ষরের সময় পরিশোধিত অর্থ ১০ কোটি টাকা। চুক্তিপত্র অনুযায়ী দুটি দলিলে ভূমির দলিল রেজিস্ট্রি করা হয়। যার মধ্যে ২০১২ সালের ১৬ অক্টোবর প্রথম দলিলে ১৮ কাঠা জমির দাম ৯ কোটি টাকা উল্লেখ করা হয়েছে। যেখানে গ্রহীতা শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু, শেখ শাহরিয়ার পান্না ও শিরিন আক্তার। 

অন্যদিকে দ্বিতীয় দলিলে ওই একই বছরে ১২.২৫ কাঠার দাম ৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। যেখানে গ্রহীতা হলেন শেখ ছাবিদ হাই অনিক ও শেখ রাফা হাই। জমির মোট রেজিস্ট্রেশন মূল্য ধরা হয়েছে ১৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা। রেজিস্ট্রেশনে মূল্য ৯৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা কম দেখিয়ে অবৈধ আয় গোপন করার চেষ্টা করেছেন তিনি। এছাড়া, জমির মূল্য কম দেখিয়ে সরকারের ৮ কোটি ৫২ লাখ ৭৫ হাজার টাকার রাজস্বও ফাঁকি দিয়েছেন।

এএইচ