ঋণ দিতে বিশ্বব্যাংকের চার শর্ত
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:৪৮ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সোমবার
আর্থিক খাত সংস্কারে বাংলাদেশকে প্রায় ১০০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক। তবে দেশের ব্যাংক ও আর্থিক খাতের সংস্কার এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংককে শক্তিশালীকরণের কাজে এই অর্থ ব্যবহার করতে হবে। এ জন্য সংস্থাটি চারটি শর্ত বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংককে।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে বৈঠককালে বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তারা এসব শর্ত বেঁধে দেন।
জানা গেছে, বিশ্বব্যাংকের ঋণের মধ্যে ৭৫ কোটি ডলার ব্যয় করতে হবে নীতি সংস্কারের জন্য। আগামী ডিসেম্বরে এই সহায়তা পাওয়ার আশা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই ঋণ পেতে বাংলাদেশকে যেসব শর্ত মানতে হবে—ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ আদায়ে সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানির কাঠামো তৈরি এবং কোনো ঋণের প্রকৃত সুবিধাভোগী কে হবেন, তা নির্ধারণে নীতি প্রণয়ন করা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ফরেনসিক নিরীক্ষা করলে সেটির কার্যপরিধি কী হবে, তা নির্ধারণ করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকে বিধিবিধান বাস্তবায়নে (এনফোর্সমেন্ট) পৃথক বিভাগ গড়ে তুলতে হবে। এ ছাড়া বাকি ২৫ কোটি ডলার ঋণ মিলবে বিনিয়োগ ঋণ ও গ্যারান্টি–সুবিধা হিসেবে ব্যবহারের জন্য।
এর আগে, ১২ সেপ্টেম্বর প্রায় ১০০ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা চেয়ে বিশ্বব্যাংককে চিঠি দেয় সরকার। দুই কিস্তিতে ৫০ কোটি ডলার করে এই অর্থ চেয়েছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেন, বাংলাদেশকে ১০০ কোটি বা ১ বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক। এর মধ্যে পলিসি বেসড ঋণ হিসেবে ৭৫০ মিলিয়ন ডলার, ইনভেস্টমেন্ট ঋণ হিসেবে ২৫০ মিলিয়ন ডলার এবং গ্যারান্টি ফ্যাসিলিটি হিসেবে ১৫০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ সহায়তা দেওয়া হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব ও অর্থ দপ্তরের আন্তর্জাতিক অর্থায়নবিষয়ক সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যানের সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনুসর। বৈঠকে কীভাবে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি উন্নত করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ সময় মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরানো ও প্রবৃদ্ধিসহ নানা বিষয় উঠে আসে। আর্থিক খাত সংস্কারে যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতা করবে বলে গভর্নরকে আশ্বাস দেওয়া হয়।
কেআই//