ঢাকা, শুক্রবার   ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ৪ ১৪৩১

ভারতে ‘এক দেশ এক ভোট’ প্রস্তাবে মন্ত্রিসভার অনুমোদন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:৫১ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ বুধবার | আপডেট: ০৫:৫৭ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ বুধবার

ভারতের  কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা লোকসভা ও বিধানসভার ভোট একইসঙ্গে করার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।  দেশটির পার্লামেন্টের শীতকালীন অধিবেশনেই এই প্রস্তাব বিল আকারে পেশ করা হবে। 

আজ বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘এক দেশ এক ভোট’ প্রস্তাবটি পাস হয়।

দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, সাবেক প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন কমিটির প্রস্তাবে বলা হয়েছে, দেশের উন্নয়নের গতি অব্যাহত রাখা ও অর্থ অপচয় ঠেকাতে লোকসভা, বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা ও পৌরসভা-পঞ্চায়েতের মতো স্থানীয় প্রশাসনের ভোট একইসঙ্গে করা উচিত। ১০০ দিনের মধ্যে পর্যায়ক্রমে এই ভোট হয়ে গেলে ভারতের মতো গণতন্ত্রের দেশের বিপুল অর্থ সাশ্রয় হবে এবং উন্নয়নের কাজও ব্যাহত হবে না।

এদিকে ‘এক দেশ এক ভোট’-কে বিজেপির গণতন্ত্রবিরোধী পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেছেন  তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। 

এর আগে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর  ‘এক দেশ এক ভোট’ কার্যকরের দিকনির্দেশিকা খুঁজতে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর কোবিন্দের নেতৃত্বে কমিটি গড়েছিল মোদি সরকার। 

এরপর লোকসভা ভোটের আগেই গত ১৪ মার্চ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে গিয়ে একসঙ্গে লোকসভা এবং সব কয়টি বিধানসভার নির্বাচন করানোর সুপারিশ করে আট খণ্ডে বিভক্ত ১৮ হাজার পাতার প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল কোবিন্দ কমিটি। 

মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, বিভিন্ন মঞ্চে আলোচনার পরেই কোবিন্দ কমিটির রিপোর্ট অনুমোদনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। পার্লামেন্টের আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে বিলটি পেশ করা হতে পারে। 

কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিএম-সহ বিরোধী দলগুলি গোড়া থেকেই ‘এক দেশ এক ভোট’ পদ্ধতির সমালোচনায় মুখর। তাদের মতে, এই নীতি নিয়ে মোদি সরকার ঘুরপথে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ধাঁচের ব্যবস্থা চালু করতে চাইছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো এবং সংসদীয় গণতান্ত্রিক ভাবনার পরিপন্থী বলেও বিরোধী নেতৃত্বের অভিযোগ। বিশেষত বিজেপি-বিরোধী আঞ্চলিক দলগুলির আশঙ্কা, ‘এক দেশ এক ভোট’ নীতি কার্যকর হলে লোকসভার ‘ঢেউয়ে’ বিধানসভাগুলো ‘ভেসে যাবে’।
 
সূত্র: এনডিটিভি ও আনন্দবাজার