জাবিতে ছাত্রলীগ নেতা হত্যায় চারজন ছাত্রদলের ও একজন সমন্বয়ক অভিযুক্ত
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:৩৬ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১০:৩৭ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ বৃহস্পতিবার
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শামীম আহমেদ ওরফে শামীম মোল্লা হত্যার ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে ছয়জনের পরিচয় জানা গেছে। জানা গেছে, ওই ছয় শিক্ষার্থীর মধ্যে একজন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয় শাখার এক সমন্বয়ক রয়েছে। এছাড়া ছাত্রদলের ৪ নেতা ও ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের এক শিক্ষার্থী জড়িত থাকার কথা জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
ঘটনার ভিডিও ফুটেজ, ছবি ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। ছাত্রদলের অভিযুক্ত চারজন হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৩ ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থী আবু সাঈদ ভূঁইয়া, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৫ ব্যাচের রাজু আহমেদ ও একই বিভাগের ৪৬ ব্যাচের মোহাম্মদ রাজন মিয়া (রাজু), ইংরেজি বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের হামিদুল্লাহ সালমান। রাজু, রাজন ও সালমান কোনো পদে না থাকলেও ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের রাজনীতিতে জড়িত বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। অপর দুজন হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সমন্বয়ক আহসান লাবিব এবং ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী আতিকুজ্জামান।
এদিকে শামীম মোল্লা হত্যার ঘটনায় জড়তি অভিযোগে মোট আট শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই সঙ্গে ঘটনা তদন্তের জন্য ছয় সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এ বি এম আজিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি সুষ্ঠু তদন্ত শেষে বিশ্ববিদ্যালয় ও রাষ্ট্রের প্রচলিত আইন মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা ফটকের সামনে শামীমকে মারধরের একটি ৮ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, শামীম মাটিতে পড়ে আছেন। তাঁর পিঠের দিকে কয়েকটা লাথি মারছেন ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আতিকুজ্জামান। একই সময়ে তাঁর পায়ে লাঠি দিয়ে কয়েকটি বাড়ি দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিশ্ববিদ্যালয় সমন্বয়ক আহসান লাবিব।
অপর একটি ভিডিওতে দেখা যায়, গত ১৫ জুলাই রাতে উপাচার্যের বাসভবনের ছাত্রলীগের হামলায় শামীম জড়িত ছিলেন কি না, সেটা জিজ্ঞাসাবাদ করছেন আহসান লাবিব। তখন শামীম নিজে জড়িত ছিলেন না দাবি করে ছাত্রলীগের দুজন নেতা জড়িত ছিলেন বলে স্বীকারোক্তি দেন।
এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার কলাপসিবল গেটের মধ্যে শামীমকে মারধরের আরেকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, শামীম উল্টো হয়ে মেঝেতে পড়ে আছেন। তাঁকে রড দিয়ে বেধড়ক পেটাচ্ছেন সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী রাজু আহমেদ। তখন রাতুল নামের জার্সি পরিহিত একজনকেও লাঠি দিয়ে তাকে মারতে দেখা যায়। রাজু হাসান ও হামিদুল্লাহ সালামনও সেখানে শামীমকে মারধর করেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
এসএস//