রাজধানীতে পিটিয়ে ও কুপিয়ে ৩ জনকে হত্যা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৪৬ এএম, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ শনিবার
দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে দু’জনকে পিটিয়ে হত্যার রেশ না কাটতেই রাজধানীতে তিনজনকে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে মোহাম্মদপুরে দুই যুবককে কুপিয়ে হত্যা এবং খিলগাঁওয়ে এক ব্যক্তির লাশ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) ভিন্ন ভিন্ন সময় এ ঘটনা ঘটে।
মোহাম্মদপুরে নাসির বিশ্বাস (২৩) ও মুন্না হাওলাদার (২৪) নামে দুই যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। অন্যদিকে, খিলগাঁওয়ের তালতলা এলাকা থেকে নূর ইসলাম (৫০) নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা যায়, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রায়ের বাজার এলাকার কিশোরগ্যাং লিডার এলেক্স ইমনের নেতৃতে তাদের উপর হামলা হয়।
নিহত নাসিরের বড় ভাই ইসলাম বিশ্বাস জানান, হাজারীবাগের রায়েরবাজার এলাকার বাড়ৈখালীর ১২ নম্বর সড়কের বাসায় থাকতেন নাসির। তার বাড়ি মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার পশ্চিম বালিগ্রামে। পেশায় তিনি রাজমিস্ত্রী ছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুরের বুদ্ধিজীবী কবরস্থানের এক নম্বর ফটকের পাশে তাঁর ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা।
পরে রাত পৌনে ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নাসিরের মৃত্যু হয়।
পুলিশ জানায়, একই ঘটনায় মুন্না হাওলাদার নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর বাবার নাম বাবর হাওলাদার; বাড়ি পটুয়াখালী। তিনি রায়েরবাজারের পাবনা হাউস গলিতে থাকতেন।
মুন্নার বিরুদ্ধে হত্যা, ছিনতাই, চুরিসহ বিভিন্ন অভিযোগে অন্তত পাঁচটি মামলা রয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মোহাম্মদপুর অঞ্চলের সহকারী কমিশনার মিজানুর রহমান বলেন, ইমন ও আলতাফ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়ে টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখান থেকে আহত দু’জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। হত্যায় জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে পুলিশ।
এদিকে, খিলগাঁওয়ের তালতলা এলাকা থেকে শুক্রবার দুপুরে নূর ইসলাম (৫০) নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
খিলগাঁও থানার ওসি দাউদ খান বলেন, পরিবারের সঙ্গে ঢাকার কেরানীগঞ্জের রায়েরচর এলাকায় থাকতেন নূর। তিনি আগে বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি বেকার ছিলেন। কাজের খোঁজে প্রায়ই ঢাকায় আসতেন। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার সকালে তিনি বাসা থেকে বের হন। এরপর আর তাঁর খোঁজ পাননি স্বজনরা।
শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঝিলপাড়ে তাঁর লাশ পাওয়া যায়। কীভাবে তাঁর মৃত্যু হলো, তা ময়নাতদন্তে বেরিয়ে আসবে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান ওসি।
এএইচ