ঢাকা, বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১

লেবাননে স্থল অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:২১ এএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ বৃহস্পতিবার

হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে চলমান বিমান হামলার মধ্যেই এবার লেবাননে সম্ভাব্য স্থল অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। উত্তর ইসরায়েলে সামরিক বাহিনীর মহড়া পরিদর্শন করেছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট। এর আগে, ফিলিস্তিনের গাজাতেও ইসরায়েল স্থল অভিযানের আগে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছিল।

ইসরায়েলের একটি সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম জানিয়েছে, লেবাননে স্থল অভিযান চালানোর পরিকল্পনা নিয়ে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী মহড়া দিচ্ছে। মহড়ায় অংশ নেওয়া সেনাদের সঙ্গে দেখা করে প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্যালান্ট তাদের প্রস্তুতি পর্যালোচনা করেছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানান, গাজা থেকে উত্তর লেবানন সীমান্তে স্থানান্তরিত সাঁজোয়া বাহিনী ও প্যারাট্রুপারদের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়েছে।

গ্যালান্ট বলেছেন, "ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমরা যেকোনো পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।" টাইমস অব ইসরায়েলের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, লেবাননে স্থল অভিযানের মহড়া জোরদার করছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী।

ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে আন্তঃসীমান্ত সংঘাত বেশ কিছুদিন ধরেই চলছে, যা অনেক প্রাণহানি এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ডেকে এনেছে। অধিকাংশ হতাহতের মধ্যে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারাই প্রধান। সংঘাতে লেবাননে লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

হিজবুল্লাহ ঘোষণা করেছে যে তারা হামাসের সমর্থনে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে এবং গাজায় যুদ্ধবিরতি না আসা পর্যন্ত তারা তাদের অভিযান বন্ধ করবে না। ইসরায়েল এবং যুক্তরাজ্যসহ অনেক দেশ হিজবুল্লাহকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে।

সম্প্রতি ইসরায়েল তাদের নজর গাজা থেকে সরিয়ে লেবাননের দিকে ঘুরিয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনীর চালানো হামলাগুলোর মধ্যে হিজবুল্লাহ নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে পেজার এবং ওয়াকিটকি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আঘাত করা হয়। এই ঘটনাগুলোকে হিজবুল্লাহর ওপর বড় ধরনের হামলার পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে ধরা হচ্ছে।

গত সোমবার থেকে ইসরায়েল লেবাননের বিভিন্ন অঞ্চলে হামলা জোরদার করেছে, বিশেষত হিজবুল্লাহ অধ্যুষিত দক্ষিণাঞ্চলে। লেবাননের গণমাধ্যম জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী দক্ষিণাঞ্চল এবং বেক্কা উপত্যকাসহ বেশ কয়েকটি শহর ও গ্রামে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে।

এসবি/