ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান

শহিদদের নামের খসড়া তালিকা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৫৩ পিএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ বৃহস্পতিবার

জুলাই-আগস্টে সংঘটিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও জেলা পর্যায় থেকে সংগৃহীত শহিদদের নামের খসড়া তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের ওয়েবসাইট (www.hsd.gov.bd) এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে (www.dghs.gov.bd) এ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

তবে তথ্য সংশোধন ও সংযোজনের জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকাটি আগামী ৬ অক্টোবর পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। সেই সঙ্গে তালিকায় প্রকাশিত নাম, ঠিকানা ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যাদি যাচাই ছাড়াও সংশোধন ও পূর্ণাঙ্গ করতে শহিদ পরিবারের সদস্য, ওয়ারিশ ও প্রতিনিধিদের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এছাড়াও প্রকাশিত তালিকার বিষয়ে কারও কোনো মতামত, পরামর্শ কিংবা নতুন কোনো তথ্য-উপাত্ত সংযোজন করার মতো বিষয় থাকলে তা সেবা নেয়া সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল অথবা নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

প্রকাশিত তালিকার তথ্য হালনাগাদ ও সংশোধনের জন্য যা করতে হবে:

ক) শহিদ পরিবারের সদস্য, ওয়ারিশ ও প্রতিনিধিদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) অথবা জন্মনিবন্ধন ও মোবাইল নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।

খ) রেজিস্ট্রেশনের পর শহিদ ব্যক্তির তথ্য ডাউনলোড ও প্রিন্ট করতে হবে।

গ) প্রিন্ট করা কাগজের যে ঘরগুলোয় তথ্য নেই, সেগুলো পূরণ করতে হবে।

ঘ) পূরণ করা তথ্য নিয়ে সেবা নেয়া সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল অথবা নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে গেলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান তথ্য সংশোধনে সহায়তা করবে।

ঙ) প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি শহিদ পরিবারের সদস্য, ওয়ারিশ ও প্রতিনিধি কর্তৃক পূরণ করা ফরমটি জমা নিয়ে অনলাইনে তথ্যগুলো হালনাগাদ করবেন।

চ) এ ক্ষেত্রে জমা দেয়া তথ্য যথাযথভাবে সন্নিবেশিত বা সংশোধিত হলো কিনা তা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে পুনরায় যাচাই করা যাবে।

তবে সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার আন্দোলনের শহিদদের মধ্যে যদি কারও নাম এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না হয়ে থাকে তাহলে শহিদ পরিবারের সদস্য, ওয়ারিশ ও প্রতিনিধিরা উপযুক্ত প্রমাণকসহ সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অথবা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে।

এসবি/