ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

জনগণের আস্থা অর্জনের কোনো বিকল্প নেই : ডিএমপি কমিশনার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৪০ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ শনিবার

পুলিশ বাহিনীর প্রতিটি সদস্যদের যার যার অবস্থান থেকে অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে এবং কাজের মধ্য দিয়েই জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. মাইনুল হাসান। এ সময় তিনি জনগণের আস্থা অর্জনের বিকল্প নেই বলেও উল্লেখ করেন। 

আজ শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মিরপুরে পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (পিওএম) শহীদ এসআই শাহজাহান মিলনায়তনে আয়োজিত কল্যাণসভায় তিনি এ কথা বলেন।

বক্তব্যের শুরুতে ডিএমপি কমিশনার ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আত্মাহুতি দেওয়া শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা ও তাদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। একইসঙ্গে স্মরণ করেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রাণ উৎসর্গকারী ও আহত পুলিশ সদস্যদের।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, একটি পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আমি দায়িত্বভার গ্রহণ করেছি। মুষ্টিমেয় সদস্যদের অপেশাদার কার্যকলাপের কারণে পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থার সংকট তৈরি হয়। এটি পুলিশ বাহিনীর জন্য একটি অপূরণীয় ক্ষতি। তবে আমরা দিনরাত পরিশ্রমের মাধ্যমে পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। আমি বিশ্বাস করি, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা এমন জায়গায় পৌঁছাতে পারব, যেখানে পুলিশ জনগণের আস্থার প্রতীক হবে।

তিনি বলেন, পুলিশের উপর যে দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে, তা অন্য যেকোনো প্রতিষ্ঠান থেকে ভিন্ন। পুলিশ হলো রাষ্ট্রের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। আমরা রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা করে থাকি। আর স্থিতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি একটি দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও সার্বিক উন্নয়নের পূর্ব শর্ত।

কল্যাণ সভায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ফোর্সের উদ্দেশ্যে যেসব দিক নির্দেশনা দেন সেগুলো ধারণ করে প্রত্যেক সদস্যকে তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের আহ্বান জানান ডিএমপি কমিশনার।

এসময় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) ফারুক আহমেদ বলেন, আমাদেরকে এমনভাবে কাজ করতে হবে যেন পরিবারের প্রতিটি সদস্য গর্ব করে বলতে পারে যে আমার পরিবারে একজন পুলিশ সদস্য রয়েছে। আমরা যে পরিবর্তনের কথা বলছি সেখানে সবার অংশীদারত্ব থাকতে হবে।

কল্যাণ সভায় ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার সদস্যরা তাদের সুনির্দিষ্ট কিছু সমস্যা ও চাহিদার কথা ডিএমপি কমিশনারের কাছে পেশ করেন। কমিশনার সবার বক্তব্য মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং প্রত্যেকটি সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে সবাইকে আশ্বস্ত করেন। সভা শেষে ডিএমপি কমিশনার ফোর্সের ব্যারাক ও মেস পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।

কল্যাণ সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, সংশ্লিষ্ট উপপুলিশ কমিশনার ও পিওএম (উত্তর, দক্ষিণ, পশ্চিম) বিভাগের পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এসএস//