কমছে তিস্তার পানি, ভাঙন আতঙ্কে মানুষ
প্রতিনিধিদের খবর
প্রকাশিত : ১২:২২ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সোমবার
তিস্তা নদীতে পানি কমতে শুরু করায় লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। পানি কমার সাথে গাইবান্ধা ও সুন্দরগঞ্জে শুরু হয়েছে নদী ভাঙ্গন। এদিকে কুড়িগ্রামে সবগুলো নদ-নদীর পানি কমলেও বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।
তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার নীচে নেমে যাওয়ায় লালমনিরহাটে বেশ কিছু এলাকা থেকে বন্যার পানি ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে। পাশাপাশি ডুবে থাকা ঘর বাড়িগুলো থেকেও পানি সরে যাচ্ছে। জেগে উঠতে শুরু করেছে পানিতে তলিয়ে থাকা রাস্তাঘাট ও ধানক্ষেতগুলো। তবুও ফসল নিয়ে শঙ্কা কাটছে না কৃষকদের।
তবে পানি নামতে শুরু করলেও এখনো দুর্ভোগ কাটেনি বন্যা দুর্গতদের। বাসা বাড়িতে রান্না করে খাওয়ার পরিস্থিতি হয়নি এখনও। বিপাকে আছেন গবাদি পশু নিয়েও। এছাড়া রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারছেন না তারা।
কুড়িগ্রামে ধরলা, দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তাসহ সবগুলো নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। প্লাবিত নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের ধান, বাদাম ও মরিচক্ষেত তলিয়ে আছে। হঠাৎ পানি বেড়ে যাওয়ায় নদীভাঙন আতঙ্কে রয়েছেন মানুষজন।
আকস্মিক পানি বাড়ায় রাজারহাট, উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার ৬ ইউনিয়নের চর ও নিম্নাঞ্চলের শতাধিক বসতঘর, কাঁচা সড়ক তালিয়ে গেছে। কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, বন্যায় জেলার প্রায় ৩০০ হেক্টর জমির রোপা আমনক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের চরাঞ্চলের পানি কমলেও নতুন করে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন। পানি শ্রোতের কারণে সুন্দরগঞ্জের রাজার চর, কাপাসিয়া, গাইবান্ধার কুন্দের পাড়ায় দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন।
এএইচ