ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

ভারত ছেড়ে শেখ হাসিনা মধ্যপ্রাচ্যের দেশে!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৪২ পিএম, ৭ অক্টোবর ২০২৪ সোমবার

গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে, শেখ হাসিনা ভারত ছেড়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলে গেছেন। যদিও এই গুঞ্জনের বিষয়ে ভারতের বা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য দেয়া হয়নি। 

এর আগে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এর পর থেকে ভারতের আশ্রয়ে সেখানে দুই মাস অবস্থান করেন। 

সোমবার (৭ অক্টোবর) দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে এবার ভারত ছেড়ে শেখ হাসিনা সংযুক্ত আরব আমিরাতে আশ্রয় নিয়েছেন বলে খবর চাউর হয়েছে।

তবে ঠিক কবে নাগাদ তিনি আরব আমিরাতে পৌঁছান তা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। সম্প্রতি আরব আমিরাতে দেখা গেছে সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানকে। ধারণা করা হচ্ছে, আরব আমিরাতের আজমান শহরে শামীম ওসমানের বাড়িতে শেখ হাসিনা আশ্রয় নিয়েছেন।

এর আগে একাধিক সূত্র জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কাছে জানতে চেয়েছে, শেখ হাসিনা কীভাবে, কোন ব্যবস্থায় দিল্লিতে অবস্থান করছেন? জবাবে ভারত বলেছে, খুব স্বল্প সময়ের মধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যের কোনো একটি দেশে তিনি চলে যাবেন।

তার আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতে শেখ হাসিনা রাজনৈতিক আশ্রয় চাইলে দেশটি রাজি হয়নি। ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশগুলোর মতো সংযুক্ত আরব আমিরাতও শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিতে শ্রেফ মানা করে দেয়।

এদিকে, কোন প্রেক্ষাপটে এবং কি শর্তে শেষমেশ আরব আমিরাত আজমাইন শহরে শেখ হাসিনাকে আশ্রয়ের অনুমতি দিয়েছে সে সম্পর্কেও সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য এখনো নিশ্চিত করা যায়নি। আরব আমিরাতের আজমাইনে শেখ হাসিনা ঠিক কতদিন অবস্থান করবেন এবং তার পরবর্তী গন্তব্য কোথায় সে বিষয়েও জানা যায়নি।

শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে থাকার ভিসার মেয়াদও শেষ হয়ে যায় বেশ কিছুদিন আগেই। আন্তর্জাতিক কূটনীতিক মহলে শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান নিয়ে মোদি সরকারকে দেশের ভেতরে-বাইরে যথেষ্ট চাপের মুখে পরতে হয়েছে। মোদি সরকারকে বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।

উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাংলাদেশের ক্ষমতাভার গ্রহন করেন। শেখ হাসিনার প্রায় ১৬ বছরের শাসনামলের দূর্ণীতি, অনিয়ম, দুঃশাসন আর অসংখ্য বিচার বহির্ভূতভাবে হত্যাকান্ডের জন্য এই সাবেক সরকার প্রধানকে দেশে ফেরত এনে বিচারের দাবিতে এখনো ছাত্র-জনতা এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার সোচ্চার ও সক্রিয় রয়েছেন।

এসএস//