‘আবরার স্বাধীনতার প্রতীক’
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:০৭ পিএম, ৭ অক্টোবর ২০২৪ সোমবার
আবরার ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার প্রতীক বলে মন্তব্য করেছেন আমাদের দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।
তিনি বলেন, তিতুমীরের মতো শতবছর পরও আমরা আবরারকে বীর হিসেবে স্মরণ করতে চাই। অন্যদিকে শেখ মুজিব হাসিনার ফ্যাসিবাদের আইকন। সে কারণে আমি সরকারের প্রতি দেওয়া আমার ৭ দফা দাবিতেও বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর নাম পরিবর্তন করে আবরার অ্যাভিনিউ করার কথা বলেছি।
আজ সোমবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর পলাশীতে ছাত্রলীগের নির্যাতনে নিহত বাংলাদেশ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
আবরার ফাহাদ স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে ‘আগ্রাসন বিরোধী আট স্তম্ভ’ পুনর্নির্মাণ করতে অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়।
২০২০ সালের ৭ অক্টোবর প্রথম এই স্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছিল। পরে ছাত্রলীগের নেতারা স্তম্ভটি গুড়িয়ে দেয়। দীর্ঘ চার বছর পর তা পুনর্নির্মাণের ভিত্তি স্থাপন করা হয়।
মাহমুদুর রহমান বলেন, আমি অন্তর্বর্তী সরকার না হতে অনুরোধ করেছিলাম। তারা এখানে ভুল করেছে। আপনারা বিপ্লবী সরকার হোন। শেখ হাসিনার সংবিধানকে ছুঁড়ে ফেলে দেন। পরের নির্বাচিত সরকার এসে বিপ্লবের মর্মবাণী অনুযায়ী নতুন সংবিধান প্রণয়ন করবে।
আবরার ফাহাদ স্মৃতি সংসদের আহ্বায়ক আখতার হোসেন বলেন, আবরার ফাহাদ একক কোনো ব্যক্তি নয়। সে কোটি মানুষের স্বাধীনতার প্রতীক। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় যে নির্যাতন হয়, বুয়েটের ঘটনা ছিল তার একটি প্রতীক। এখনো এই মামলার বিচার কার্যক্রম শেষ হয়নি। পলাতকদের গ্রেপ্তার করে খুনিদের দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কোনো আগ্রাসনকে প্রশ্রয় দেবে না। ভারতের জনগণের সঙ্গে আমাদের কোনো বৈরী সম্পর্ক নেই। আমাদের অবস্থান দিল্লির আধিপত্যবাদী নীতির বিরুদ্ধে।
এর আগে বিকেল তিনটায় শাহবাগে নিরাপদ বাংলাদেশ প্লাটফর্মের ব্যানারে আয়োজিত সমাবেশে আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ, ভাই আবরার ফাইয়াজ, জাতীয় নাগরিক কমিটির আহবায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সাদিক কায়েম, ও এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বক্তব্য দেন।
এসএস//