মিল্টনের তাণ্ডব
ফ্লোরিডায় ৪ জন নিহত, বিদ্যুৎহীন ৩০ লাখ মানুষ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৫৩ পিএম, ১০ অক্টোবর ২০২৪ বৃহস্পতিবার
বৃহস্পতিবার ফ্লোরিডার মধ্য ও উত্তরাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় মিল্টনের আঘাতে প্রবল বন্যা ও বাতাসে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়। অনেক বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে। এই ঝড়ে কমপক্ষে চারজন নিহত এবং ৩০ লাখ মানুষ বিদ্যুৎ সংযোগবিহীন হয়ে পড়েছেন।
বুধবার রাতে সারাসোটা কাউন্টির সিয়েস্তা কির কাছে ঝড়টি ক্যাটাগরি ৩ মাত্রার হারিকেন হিসেবে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২০৫ কিলোমিটার বাতাসের গতিবেগ নিয়ে আঘাত হানে।
রাতভর ঘূর্ণিঝড় রাজ্যজুড়ে বইতে থাকে, যার ফলে কর্তৃপক্ষ আকস্মিক বন্যার জন্য সতর্কতা জারি করে। সূর্যোদয়ের কয়েক ঘণ্টা আগে ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র আটলান্টিক মহাসাগরে সরে যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার জানিয়েছে, ঝড়টি রাজ্য থেকে দূরে সরে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার ফ্লোরিডার উত্তরাঞ্চলের একটি এলাকায় ৫ থেকে ১০ সেন্টিমিটার অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে।
ফ্লোরিডার পশ্চিম উপকূলের শহর সেন্ট পিটার্সবার্গে ৪১ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়, যা অক্টোবরের গড় বৃষ্টিপাতের আটগুণ।
ফ্লোরিডার ক্লিয়ারওয়াটার শহরে এক প্লাবিত ভবনের বাইরে উদ্ধারকর্মী কাজ করছে। ফটোঃ ১০ অক্টোবর।, ২০২৪।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে টাম্পা, সেন্ট পিটার্সবার্গ, সারাসোটা এবং ফোর্ট মায়ার্স শহরও জলোচ্ছ্বাসের কবলে পরে প্লাবিত হয়। তিরিশ লাখেরও বেশি বাসিন্দা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
এই অবস্থা দীর্ঘ সময় স্থায়ী হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে ইউটিলিটি কোম্পানিগুলো।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ, মায়ামির ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস টর্নেডোর ছবি পোস্ট করে বলেছে, ফ্লোরিডা এখন দ্রুত গতির ও বিপজ্জনক টর্নেডোর ঝুঁকিতে রয়েছে। বুধবার বিকেল পর্যন্ত ৫০টিরও বেশি টর্নেডো সতর্কতা জারি করেছে সংস্থাটি।
ঘূর্ণিঝড় হেলেন আঘাত হানার মাত্র দুই সপ্তাহ পরই ফ্লোরিডায় মিল্টনের আঘাত এলো।