ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

প্রামাণ্যচিত্র

নানা ষড়যন্ত্র, কিন্তু বারবার ফিরে আসে একুশে টেলিভিশন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:০৭ পিএম, ১৩ অক্টোবর ২০২৪ রবিবার

শুরুর পর থেকেই তুমুল জনপ্রিয়তা যায় একুশে টেলিভিশন। পক্ষপাতদুষ্ট সংবাদ প্রচার এবং "অবৈধ" লাইসেন্সের মাধ্যমে সম্প্রচারের অভিযোগ এনে তৎকালীন সরকার ২০০২ সালের ২৯ আগস্ট একুশে টেলিভিশনের সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়। 

তারপর এটির দায়িত্ব নেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও সিইও আব্দুস সালাম। সভা-সমাবেশ ও দীর্ঘ আইনী লড়াই শেষে আব্দুস সালাম উচ্চ আদালতের রায় পান ২০০৫ সালের ১১ এপ্রিল। একুশে টেলিভিশন পুনরায় সম্প্রচারে ফেরে ২০০৭ সালের ২৯ মার্চে। এসময় শুধু স্যাটেলাইট এবং কেবল টেলিভিশনে একুশে টেলিভিশন পুনরায় সম্প্রচার শুরু করে।

সম্প্রচার শুরুর পর একুশে টেলিভিশন সত্য প্রচারের কারণে আবারও তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। কিন্তু আবারও স্বৈরাচার হাসিনা সরকার ষড়যন্ত্র শুরু করে। ২০১৪ সালে শেখ হাসিনার একতরফা নির্বাচন নিয়ে সত্যনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার করতে থাকে একুশে টেলিভিশন। মানুষ ভোট দিতে পারছিল না এটা আব্দুস সালাম মানতে পারছিলেন না। 

এতে তৎকালীন স্বৈরাচার শেখ হাসিনার রোষানলে পড়েন টেলিভিশনটির চেয়ারম্যান ও সিইও আব্দুস সালাম। তারপর  শেখ হাসিনা চক্রান্ত করতে থাকেন।

২০১৫ সালের ৬ জানুয়ারি হাসিনা সরকারের গোয়েন্দারা আব্দুস সালামকে একুশে টেলিভিশনের অফিস থেকে আটক করে। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দিয়ে দীর্ঘ আড়াই বছর কারাগারে রাখা হয়।

২০১৫ সালের ২৫ নভেম্বর ব্যাংক লুটেরা এস আলম শেখ হাসিনার তৎকালীন বিশেষ সহকারী আবদুস সোবহান গোলাপের পরিকল্পনায় একুশে টেলিভিশন দখল করে নেন। তারপর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর ওইদিনই একুশে টেলিভিশন ফিরে পান আব্দুস সালাম।

বর্তমানে চেয়ারম্যান ও সিইও আব্দুস সালামের নেতৃত্বে একুশে টেলিভিশন তার হারানো গৌরব ফিরে পাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে। টেলিভিশন চ্যানেল ফিরে পাওয়ার পর এক অনুষ্ঠানে তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, গত দশ বছরে হারিয়ে যাওয়া একুশে টেলিভিশনের সেই গৌরব শিগগিরই ফিরবে।

এএইচ