ঢাকা, শুক্রবার   ১৮ অক্টোবর ২০২৪,   কার্তিক ২ ১৪৩১

ইউক্রেনের জন্য বাইডেনের সাড়ে ৪২ কোটি ডলার নিরাপত্তা সহায়তা ঘোষণা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৪৭ পিএম, ১৭ অক্টোবর ২০২৪ বৃহস্পতিবার

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রাশিয়ার আগ্রাসনের সময়ে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা সহায়তার ব্যাপারে বুধবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকির সঙ্গে কথা বলেন।

বাইডেন ইউরোপের পূর্বাঞ্চলীয় এই রাষ্ট্রের জন্য বাবদ ৪২ কোটি ৫০ লক্ষ ডলারের থোক নিরাপত্তা সহায়তা প্রদানের ঘোষণা দিয়েছেন। এই সহায়তার মধ্যে আছে অতিরিক্ত বিমান প্রতিরক্ষায় সক্ষমতা অর্জন, আকাশ থেকে স্থলে নিক্ষেপণযোগ্য অস্ত্র-শস্ত্র, যুদ্ধাস্ত্র সম্বলিত যানবাহন এবং খুব জরুরি সামরিক প্রয়োজনীয়তা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র শস্ত্র।

সামনের মাসগুলিতে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে আরও সাজ সরঞ্জাম সরবরাহ করতে যাচ্ছে যার মধ্যে আছে আকাশ প্রতিরক্ষার জন্য শত শত প্রতিবন্ধক, কয়েক ডজন কৌশলগত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, আরো গোলন্দাজ ব্যবস্থা, শত শত সমরাস্ত্রবাহী যানবাহন এবং স্থলে লড়াই করার ক্ষেত্রে যানবাহন।

বাইডেন আগামি মাসে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা কন্টাক্ট গ্রুপের সঙ্গে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক আয়োজন করতে যাচ্ছেন যাতে ইউক্রেনের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তার সমন্বয় করা যায়।

জেলেন্সকি বৃহস্পতিবার যখন ব্রাসেলস’এ নেটো প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের সঙ্গে তখন তিনি তাঁর দেশকে নেটোর সদস্যতা প্রদানের জন্য চাপ দেবেন তবে নেটো প্রধান মার্ক রুট বলেছেন, ইউক্রেন এতে যোগ দেয়ার আগে কিছু “কঠিন” বিষয় রয়ে গেছে।

‘বিজয়ের পরিকল্পনা’

বুধবার ইউক্রেনের সংসদে দেওয়া এক ভাষণে জেলেন্সকি ৩২ মাসের আক্রমণ সমাপ্ত করার লক্ষ্যে তাঁর ভাষায় “ বিজয় পরিকল্পনা” র রূপরেখা তুলে ধরেন যার মধ্যে রয়েছে নেটোতে যুক্ত হতে নি:শর্ত আমন্ত্রণ এবং রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অপারমানবিক প্রতিবন্ধকতা মোতায়েন।

জেলেন্সকি বলেন, “ আমাদের সহযোগীদের সঙ্গে আমাদেরকে এই অবস্থায় পরিবর্তন আনতে হবে যাতে যুদ্ধ থেমে যায় , তা পুতিন যাই চান না কেন, আমাদের সবাইকে পরিস্থিতিতে এমন পরিবর্তন আনতে হবে যাতে রাশিয়া শান্তি আনতে বাধ্য হয়”।

রুট বলেন যখন ঠিক সময়টা আসবে ,পরিশেষে ইউক্রেনের নেটো সদস্যতা লাভ “ অপরিবর্তনীয়” কিন্তু কিয়েভ যখন যুদ্ধের মধ্যে আছে তখন দেশটি নেটোতে যুক্ত হতে পারে না। তিনি ইউক্রেনের সদস্যতার ব্যাপারে কোন রকম সময়সীমা বেঁধে দিতে অস্বীকৃতি জানান। জেলেন্সকি বার বার রাশিয়াকে ইউক্রেন থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করতে এবং এক পাক্ষিক ভাবে ২০১৪ সালে ক্রাইমিয়া দখলের আগে দেশটির যে সীমান্ত রেখা ছিল তা পুনর্বহাল করতে আহ্বান জানিয়ে আসছেন, তবে এই প্রস্তাব মস্কো প্রত্যাখ্যান করেছে।

নেটোর সনদের আওতায় ৩২ টি সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিটিই অন্য ৩১ টি দেশের যে কোন একটি রাষ্ট্র আক্রান্ত হলে তাকে প্রতিরক্ষা দিতে বাধ্য । এই নিয়মটি একবারই প্রয়োগ করা হয় যখন আফগানিস্তানে আল ক্বায়দা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীর সাথে নেটোর একাধিক রাষ্ট্রের বাহিনী যোগ দেয়। ২০০১ সালে আল ক্বায়দা সন্ত্রাসীদের হামলায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৩,০০০ লোক প্রাণ হারানোর পর এই লড়াই হয় ।

যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে নেটো রাষ্ট্রগুলি রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইউক্রেনকে কোটি কোটি ডলারের অস্ত্র-শস্ত্র পাঠিয়েছে তবে কোন সৈন্য পাঠায়নি।