ঢাকা, শুক্রবার   ১৮ অক্টোবর ২০২৪,   কার্তিক ৩ ১৪৩১

দুর্ভিক্ষ কী এবং কখন তা ঘোষণা করা হয়?

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:২৩ এএম, ১৮ অক্টোবর ২০২৪ শুক্রবার | আপডেট: ১০:১৫ এএম, ১৮ অক্টোবর ২০২৪ শুক্রবার

খাবারের তীব্র সংকটের ফলে একটি দেশের জনগোষ্ঠী গুরুতর অপুষ্টি, অনাহার বা মৃত্যুর দিকে ঝুঁকে পড়লে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। সাধারণত কোনো দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে কিনা, সেটা ঘোষণা করে জাতিসংঘ।

কখনও কখনও দেশটির সরকারের সাথে এবং প্রায়শই অন্যান্য আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা বা মানবিক সংস্থাগুলোর সাথে মিলে এই ঘোষণা দেয় সংস্থাটি।

সমন্বিত খাদ্য নিরাপত্তা পর্যায় বা আইপিসি নামের জাতিসংঘের একটি মাপকাঠির ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

তীব্রতার পাঁচটি ‘পর্যায়ের’ ভিত্তিতে একটি দেশের খাদ্য ঘাটতি বা খাবারের নিরাপত্তাহীনতার র‍্যাঙ্কিং করা হয়, যার পঞ্চম ও সর্বশেষ ধাপ দুর্ভিক্ষ।

তবে আনুষ্ঠানিকভাবে দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করার জন্য একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক এলাকায় তিনটি জিনিস ঘটতে হবে:

১. কমপক্ষে ২০ শতাংশ পরিবার খাদ্যের চরম সংকটের মুখোমুখি হবে
২. কমপক্ষে ৩০ শতাংশ শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগবে
৩. দশ হাজার মানুষের মধ্যে প্রতিদিন দু'জন প্রাপ্তবয়স্ক বা চারটি শিশু ‘সম্পূর্ণ অনাহার বা অপুষ্টিতে ভুগে কিংবা এবং রোগে আক্রান্ত হয়ে’ মারা যাবে।

কী কারণে দুর্ভিক্ষ হয়?

আইপিসি বলছে, দুর্ভিক্ষ এবং চরম খাদ্য সংকটের একাধিক কারণ রয়েছে। মানবসৃষ্ট বা প্রাকৃতিক কারণে কিংবা দুটোর সংমিশ্রণে দুর্ভিক্ষ হতে পারে।

অ্যাকশন অ্যাগেইনস্ট হাঙ্গার বলছে, ‘বিশ্বব্যাপী ক্ষুধার মূল কারণ’ সংঘাত।

গাজায় চলমান সংঘাতের কারণে জীবন রক্ষাকারী খাদ্য, জ্বালানি ও পানি ভূখণ্ডটিতে ঢুকতে পারছে না।

উত্তর গাজায় মানবিক সংস্থাগুলোর ‘প্রায় ঢুকতেই না পারা’র বিষয়টিকে তুলে ধরেছে আইপিসি।

আন্তর্জাতিক উদ্ধার কমিটির (আইআরসি) মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যে চরম আবহাওয়া সৃষ্টি হয়েছে, তার কারণে সৃষ্ট খরা ও ফসল উৎপাদনে ব্যর্থতায় খাদ্য ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। এটিও দুর্ভিক্ষের কারণ হতে পারে। 

আরও একটি কারণ এল নিনো। এটি মূলত জলবায়ুর একটি ধরন, যার কারণে প্রশান্ত মহাসাগরে ভূপৃষ্ঠের জলের উষ্ণতা অস্বাভাবিক পরিমাণে বেড়ে যায়।

দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করলে কী হয়?

দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করা হলে কোনো নির্দিষ্ট অর্থায়নের সুযোগ তৈরি হয় না।

তবে এর ফলে খাদ্য সরবরাহ এবং জরুরি তহবিল সরবরাহ করা জাতিসংঘ ও বিদেশি রাষ্ট্রের কাছ থেকে উল্লেখযোগ্য আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়।

কিছু মানবিক সংস্থা যেমন- আইআরসি অপুষ্টির চিকিৎসা দেয়। গাজার অংশীদারদের সাথে মিলে খাবার ও চিকিৎসার জন্য ভাউচার এবং নগদ অর্থ বিতরণের কাজ করে অক্সফাম৷