ঢাকা, শনিবার   ১৯ অক্টোবর ২০২৪,   কার্তিক ৪ ১৪৩১

চতুর্থ দফার সংলাপ

কেউ চায় আ’লীগ নিষিদ্ধ, কেউ চায় দ্রুত নির্বাচন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:২৬ পিএম, ১৯ অক্টোবর ২০২৪ শনিবার

রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচন ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আজ শনিবার (১৯ অক্টোবর) চতুর্থ দফায় সংলাপ করেছেন  অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। 

এবারের সংলাপে গণফোরাম, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), লেবার পার্টি, ১২ দলীয় জোট, আন্দালিব রহমান পার্থের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, গণতান্ত্রিক মুক্তি কাউন্সিলসহ বেশ কয়েকটি দল অংশ নেয়। 

তবে এবারের চতুর্থ দফার সংলাপেও জাতীয় পার্টিকে (জাপা) ডাকা হয়নি। এতে দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা কাজ করছে বলছে
দলটির একাধিক নেতা জানিয়েছেন। 

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, সংলাপে অংশ না নেওয়া দলকে পরের দফায় আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে জানানো হয়।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) বেলা ২টা থেকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই সংলাপ শুরু হয়েছে। 

এর আগে গত ৫ অক্টোবর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের তৃতীয় দফা সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে দলের নয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তার রাষ্ট্রীয় বাসভবন যমুনায় সংলাপ করেন। 

সংলাপে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও চলমান সংস্কার কাজ শেষ করে দ্রুত আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে গণফোরাম।

সংলাপ শেষে গণফোরামের সমন্বয়ক দলের চেয়ারম্যান মোস্তাফা মোহসীন মন্টু সাংবাদিকদের বলেন, 'আমরা খুব দ্রুত নির্বাচন চাই। তবে কোনো নির্দিষ্ট তারিখ দেইনি। সংস্কার শেষ না করে নির্বাচন হলে (আগের মতো) একই অবস্থা হবে।'

সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমেদ বলেন, আজ আমরা ২৩টা প্রস্তাব দিয়েছি। বাংলাদেশের জনগণের জন্য যা প্রয়োজন প্রস্তাবে সেগুলো রয়েছে।

অলি আহমেদ বলেন, আগামীতে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন, সুন্দর প্রশাসন চালানোর জন্য, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য, দ্রব্যমূল্যের জন্য মানুষ কষ্ট পাচ্ছে, তাদের সহযোগিতা করার জন্য আমাদের প্রস্তাবগুলো দেওয়া হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপ শেষে যমুনা থেকে বেরিয়ে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের আহ্বায়ক ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারের সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচনী রোডম্যাপ প্রকাশ এবং সংস্কার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ কররার কথা জানিয়েছি। আর স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না রাখার পরামর্শ দিয়েছি।
 
তিনি আরও বলেন, সংস্কার কমিশগুলোর কাজ নির্ধারিত ৯০ দিনের মধ্যেই শেষ করার কথা জানিয়েছি। সময় বাড়ানো যাবে না। বাজা মনিটরিং এবং আইনশৃঙ্খলা উন্নতির বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছি। আমরা আরও বলেছি, সংবিধানে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন করতে পারে না অন্তর্বর্তী সরকার। এটা নির্বাচিত সরকার করবে।

এছাড়া  লেবার পার্টি, ১২ দলীয় জোট, আন্দালিব রহমান পার্থের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, গণতান্ত্রিক মুক্তি কাউন্সিলের নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, তারাও নির্বাচন ও সংস্কারের বিষয়ে মতামত তুলে ধরেছেন। পরবর্তীতে সংবাদ সম্মেলন করে এসব বিষয়ে আরও বিস্তরিত জানানো হবে। 

এসএস//