ঢাকা, বুধবার   ২৩ অক্টোবর ২০২৪,   কার্তিক ৭ ১৪৩১

খামারবাড়ি লিজ নিয়ে নকল পণ্যের কারখানা

নোয়াখালী প্রতিনিধি 

প্রকাশিত : ০৩:৩৪ পিএম, ২০ অক্টোবর ২০২৪ রবিবার

খামার বাড়ি কৃষি কাজের জন্য লিজ নিয়ে কোন ধরনের আইনি অনুমোদন ছাড়াই লোকচক্ষুর আড়ালে সেখানে গড়ে তোলা হয়েছে নকল পণ্যের অবৈধ কারখানা। শিশু শ্রম ব্যবহার করে ওই কারখানায় উৎপাদিত ১৫ থেকে ১৬টা পণ্য বাজারজাতও করা হচ্ছে দিব্যি।

নোয়াখালী সদর উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের পশ্চিম চর উরিয়া গ্রামের খলিল মিয়ার দরজা সংলগ্ন এলাকার আল আমিন মির্জার খামার বাড়িতে ভারটেক্স কেমিক্যাল কোম্পানি এই নকল পণ্যের কারখানাটি গড়ে তোলা হয়েছে। 

কারখানাটির মালিক লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার বাসিন্দা মো. লোকমান হোসেন।

নকল পণ্যের এই কারখানার কোন বৈধ কাগজপত্র ও ক্যামিস্ট না থাকায় অভিযানের দুদিন পর রোববার (২০ অক্টোবর) সকালে ভারটেক্স কেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেডের জিএম লোকমান হোসেনকে নগদ ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নোয়াখালীর সহকারী পরিচালক মো. কাউছার মিয়া। 

বৈধ কোন কাগজপত্র ও ক্যামিস্ট না থাকার কথা স্বীকার করে বৈধ কাগজপত্র নিশ্চিত এবং ক্যামিস্ট নিয়োগের আগ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ রাখার অঙ্গীকার করে লিখিত জবানবন্দী প্রদান করেছেন লোকমান হোসেন।

অভিযানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নোয়াখালীর সহকারী পরিচালক মো. কাউছার মিয়া, ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে সমন্বয়ক সুমাইয়া আক্তার ও আনছার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মো. কাউছার মিয়া বলেন, জেলার সদর উপজেলার পশ্চিম চর উরিয়া গ্রামের আল আমিন মির্জার খামার বাড়িতে অবৈধ কারখানায় নকল পণ্য উৎপাদন হচ্ছে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে  শুক্রবার সকালে ওই কারখানায় ভোক্তা অধিকারের পক্ষ থেকে অভিযান পরিচালনা করা হয়। 
এসময় কারখানার ভিতরে ডিটারজেন্ট পাউডার, টয়লেট ক্লিনার, ভিক্সল টাইলস ক্লিনার, টাইলস ফুটিং, শক্তিশালী জীবাণু নাশক ফিনাইল, ড্যাম্প বা লোনা ধ্বংসকারী কনভার্ট ড্যাম্প ক্যাশসহ বিপুলসংখ্যক উৎপাদিত পণ্য, উৎপাদনের সরঞ্জাম ও ক্যামিকেল পাওয়া যায়। 

কারখানায় কোন ক্যামিস্ট ও উল্লেখিত পণ্য উৎপাদনের দক্ষ কোন শ্রমিক পাওয়া যায়নি। শুধু মাত্র কয়েকজন শিশুকে দিয়ে এসব পণ্য উৎপাদন করানো হচ্ছে। 

প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় চলা এই নকল পণ্যের অবৈধ কারখানা স্থায়ীভাবে বন্ধের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এএইচ