দেশের বিচার বিভাগ নিয়ে আ’লীগের বার্তা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:১৮ এএম, ২২ অক্টোবর ২০২৪ মঙ্গলবার
বাংলাদেশে এখন ন্যায়বিচার ও বিচার বিভাগের কোনো স্বাধীনতা নেই বলে অভিযোগ করেছে আওয়ামী লীগ। গতকাল সোমবার (২১ আগস্ট) গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ দাবি করেছে দলটি। আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বিবৃতিটি প্রকাশ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ বলেছে, দেশে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ছিটেফোঁটাও নেই। দেশটিকে তারা (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) বর্বর মধ্যযুগে নিয়ে গেছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে যেকোনো মূল্যে হত্যা করতে চায় বলে অভিযোগ করেছে আওয়ামী লীগ। বিবৃতিতে বলা হয়, এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তার বিরুদ্ধে কাল্পনিক ও বানোয়াট তথ্যের ভিত্তিতে গণহত্যার মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় শেখ হাসিনাকে প্রহসনমূলকভাবে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যার যে নীলনকশা চূড়ান্ত করেছে, নাহিদ ইসলাম প্রকাশ্যে সেটিই ঘোষণা করলেন। বাঙালির মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া সংগঠন আওয়ামী লীগ এই নীলনকশাকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে এবং তার বিচারের ভার দেশবাসী ও বিশ্ববিবেকের কাছে রাখছে।
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ থেকে বলা হয়, দেশের সরকারি–বেসরকারি সব গণমাধ্যমে সম্পূর্ণ ‘ইনফরমেশন ব্ল্যাকআউট’ চলছে। ৫ আগস্ট ও পরবর্তী সময়ে সংঘটিত গণহত্যাসহ অগ্নিসন্ত্রাস, নির্যাতন ও অন্যান্য অপরাধের কোনো খবর দেশের গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়নি। একই অবস্থা এখনো চলমান। অবৈধ ও অগণতান্ত্রিক গোষ্ঠী অখুশি হতে পারে, এ ধরনের কোনো তথ্য দেশের কোনো সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে না।
দলটি থেকে বলা হয়, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা–কর্মচারীদের ওপর ব্যাপক নিপীড়নমূলক কর্মকাণ্ড এবং রাষ্ট্রীয় আইন ও নীতিবিরোধী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশের সিভিল প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধ্বংস করা হয়েছে। দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনীকে ধ্বংস করার চক্রান্ত হচ্ছে। দেশকে জঙ্গিবাদের অভয়ারণ্যে পরিণত করে জাতীয় ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলেছে। এই নিরাপত্তা ঝুঁকি কেবল বাংলাদেশের জন্য নয়, এই অবস্থা প্রতিবেশী রাষ্ট্র এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্যও গভীর সংকট তৈরি করছে।
এসএস//