আন্তর্জাতিক যোগাযোগ বাড়াচ্ছে জামায়াত
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০২:৩১ পিএম, ২২ অক্টোবর ২০২৪ মঙ্গলবার
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান। এমন পরিস্থিতিতে নোবেলি জয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মু. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর নতুন করে আবারও মাঠ ঘোচাতে ব্যস্ত রাজনৈতিক দলগুলো।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দীর্ঘদিন ধরে কোণঠাসায় ছিল জামায়াতে ইসলামী। জানা গেছে, পট পরিবর্তনের পর রাজনৈতিক, সামাজিক, কূটনৈতিক ও সাংগঠনিকসহ চতুর্মুখী তৎপরতায় ব্যস্ত সময় পার করছে দলটি।
বিগত আওয়ামী স্বৈরাচারী সরকার কূটনৈতিকভাবে জামায়াতে ইসলামীকে নেতিবাচক হিসেবে উপস্থাপন করেছিল বিশ্বদরবারে। হাসিনা সরকার পতনে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকের সঙ্গে নতুনভাবে সম্পর্কোন্নয়নে মনোযোগী হয়েছে জামায়াতে ইসলামী।
এর অংশ হিসেবে সম্প্রতি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেন নরওয়ে, ডেনমার্ক ও সুইডেনের রাষ্ট্রদূত।
এর আগে চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, ইরানসহ বেশ কয়েকটি দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছে দলটি। তার মধ্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত সম্প্রতি জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয় পরিদর্শন করেন।
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার জানান, বিভিন্ন প্রভাবশালী ও উন্নত রাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কোন্নয়নে জোর দিচ্ছে জামায়াতে ইসলামী।
কূটনৈতিকভাবে সম্পর্ক প্রসঙ্গে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, আমরা চেষ্টা করছি। গত ফ্যাসিবাদী শাসনের সময় আমাদের কোনো স্পেস দেওয়া হয়নি। আমাদের অফিসে ডিপ্লোমেটিক কাউকে আসতে দেওয়া হয়নি। নেতাদের নিরাপত্তা ছিল না। এখন পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে জামায়াতে ইসলামীকে দুনিয়াব্যাপী কূটনীতিকদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার সুযোগ তৈরী হয়েছে।
এসএস//