বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভে দুই শিক্ষার্থীসহ আহত তিন
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:১৫ এএম, ২৩ অক্টোবর ২০২৪ বুধবার | আপডেট: ০১:০৭ এএম, ২৩ অক্টোবর ২০২৪ বুধবার
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ করছেন কয়েক’শ আন্দোলনকারীরা। একপর্যায়ে তারা বঙ্গভবনের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের বাধা দেন। এতে উত্তেজনা আরও বাড়ে। এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ছোড়া সাউন্ড গ্রেনেড-শটগানের গুলিতে তিনজন আন্দোলনকারী আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন- ফয়সাল আহম্মেদ বিশাল (২৪) ও শফিকুল ইসলাম (৪৫) ও সাউন্ড গ্রেনেডে আহত আরিফ (২০)।
গুলিবিদ্ধ বিশাল আহমেদ ফয়সাল বলেন, আমরা রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে বঙ্গভবনে ঢোকার চেষ্টা করি। এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর বাধার মুখে পড়ি। ওইখানে ছাত্রভঙ্গ করার জন্য তারা ছররা গুলি এবং সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়ে। এ সময় কয়েকটি গুলি এসে আমার পায়ের গোড়ালিতে ও কোমরের নিচে লাগে। আমি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে দ্বাদশ শ্রেণিতে লেখাপড়া করি।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ যদি আমাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় তাহলে আমরা কেন দেশ স্বাধীন করলাম? পুলিশ আমাদের বন্ধু কিন্তু তারা আমাদের ওপর কেন গুলি চালাল?
আহত আরিফ বলেন, আমরা বঙ্গভবনের সামনে শান্তিপূর্ণভাবে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবি করছিলাম। ভেতরে ঢুকতে চাইলে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও গুলি ছুঁড়ে। এ সময় আমার পায়ের ওপর একটি সাউন্ড গ্রেনেড এসে পড়ে। এতে আমি আহত হই। আমি সিদ্ধেশ্বরী কলেজে লেখাপড়া করি।
গুলিবিদ্ধ শফিকুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে সংহতি প্রকাশ করে আমরা বঙ্গভবনের সামনে এসেছিলাম। আমি ব্যবসা করি। এক শিক্ষার্থীকে বাঁচাতে গিয়ে আমার ডান পায়ে গুলি লাগে।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, বঙ্গভবনের সামনে থেকে আহত অবস্থায় তিনজন এসেছেন। এদের মধ্যে দুজন গুলিবিদ্ধ। জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে।