ঢাকা, সোমবার   ২৮ অক্টোবর ২০২৪,   কার্তিক ১৩ ১৪৩১

কিশোরগ্যাংয়ের ৪৫ জন আটক

মোহাম্মদপুরের সব হাউজিংয়ে আজ বসছে সেনাক্যাম্প

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৪৪ এএম, ২৭ অক্টোবর ২০২৪ রবিবার | আপডেট: ০৮:৪৫ এএম, ২৭ অক্টোবর ২০২৪ রবিবার

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও ডাকাতিরোধে আজ রোববার (২৭ অক্টোবর) থেকে প্রতিটি হাউজিংয়ে অস্থায়ী ক্যাম্প বসাবে সেনাবাহিনী। এসব ক্যাম্প থেকে ওই এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সার্বক্ষণিক কাজ করবেন সেনাসদস্যরা। গেল রাতে মোহাম্মদপুরে অভিযান চালিয়ে কিশোরগ্যাংয়ের ৪৫ জনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী।

শনিবার (২৬ অক্টোবর) দিনগত রাত ১টায় বছিলায় সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ২৩ ইস্ট বেঙ্গলের উপ-অধিনায়ক মেজর নাজিম আহমেদ।

তিনি বলেন, মোহাম্মদপুরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ২৭ অক্টোবর থেকে বিভিন্ন হাউজিং এলাকায় অস্থায়ী ক্যাম্প করা হবে। ২ থেকে ৩টি হাউজিং এলাকার মধ্যে একটি করে এমন অস্থায়ী ক্যাম্প তৈরি করা হবে, যেখান থেকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা পুরো এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করবেন।

মেজর নাজিম আহমেদ বলেন, শনিবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৩ ইস্ট বেঙ্গল এক অভিযান পরিচালনা করে। বসিলা সুপারশপে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় দুজনসহ মোট ৪৫ জন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তাদের ব্যবহৃত বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

মোহাম্মদপুরে ২৭ থেকে ২৮টি কিশোরগ্যাংয়ের সন্ধান পাওয়া গেছে উল্লেখ করে মেজর নাজিম আরও বলেন, এরইমধ্যে জেনেভা ক্যাম্পেই প্রায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ রয়েছে। যাদের আটক করেছি, তাদের মধ্যে ১৫ থেকে ১৬ জন গডফাদার বা লিডারকে আমরা ধরেছি। এদের সবাই চাঁদাবাজি, ডাকাতি করতেন। অফিসগামী মানুষ ও শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ তাদের দ্বারা ভুক্তভোগী।

মেজর নাজিম আহমেদ

আটকদের অনেকের হাতে ট্যাটু ছিল। এরমধ্যে কারও কারও হাতে ডাবল স্টার খোঁচানো ট্যাটুও দেখা গেছে। একেকটি কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা একেক ধরনের ট্যাটু ব্যবহার করে বলেও জানিয়েছে সেনাবাহিনী।

সেনাবাহিনীর এ অভিযানের সঙ্গে র‌্যাব ও পুলিশের সদস্যরা ছিলেন এবং গ্রেপ্তারকৃতদের থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলেও জানান এ সেনাকর্মকর্তা।

সেনাবাহিনী জানায়, গত ৫ আগস্টের পর থেকে বিভিন্ন অভিযানে এখন পর্যন্ত মোহাম্মদপুর থেকে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যসহ ১৯৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ১৮টি বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র ছাড়াও ২৬১ রাউন্ড বিভিন্ন প্রকার গুলি, একটি গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও প্রায় ৮০টির মতো দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী।

এএইচ