ঢাকা, সোমবার   ২৮ অক্টোবর ২০২৪,   কার্তিক ১২ ১৪৩১

বিচারক শেখ গোলাম মাহবুবের বিরুদ্ধে দুদকে আইনজীবীর নোটিশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:১৬ পিএম, ২৭ অক্টোবর ২০২৪ রবিবার | আপডেট: ১০:১৯ পিএম, ২৭ অক্টোবর ২০২৪ রবিবার

গত ১৪ অক্টোবর দেশের একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশি সংবাদপত্রে ’অবিশ্বাস্য সম্পদ অর্ধশত বিচারক-কর্মকর্তার’ শিরোনামে খবর প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়। সম্প্রতি সংবাদটি নজরে এনে কুষ্টিয়ার নারী শিশু আদালতের বিচারক শেখ গোলাম মাহবুবের বিরুদ্ধে দুদকে ‘নোটিশ অব ডিমান্ড ফর জাস্টিস’ প্রেরণ এক আইনজীবীর।

জানা গেছে, ওই  প্রতিবেদনে বলা হয় যে, ”কুষ্টিয়ার নারী শিশু আদালতের বিচারক শেখ গোলাম মাহবুব শতকোটি টাকা পাচার করে লন্ডনের ওয়াটফোর্ডে আলিশান বাংলোর মালিক হয়েছেন। তাঁর ছেলে ও মেয়ে ওই বাংলোতে বসবাস করেন। 

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, আইন মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্মসচিব শেখ গোলাম মাহবুব এবং তার নেতৃত্বে গঠিত একটি সিন্ডিকেট বহু বছর ধরে ক্ষমতার অপব্যবহার, তদ্বির বাণিজ্য এবং বিচার ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপের মাধ্যমে বিচার বিভাগের সার্বিক স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে।

এই সিন্ডিকেট ঢাকা দেওয়ানী ও ফৌজদারি আদালতে প্রভাব বিস্তার করে আসছিল। অভিযোগে বলা হয়েছে, সিন্ডিকেটের সদস্যরা জামিন প্রদান, খালাস এবং অন্যান্য বিশেষ সুবিধা প্রদানে অবৈধভাবে আর্থিক সুবিধা অর্জন করেছেন। এছাড়াও, আদালত নির্ধারণে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নিজেদের পছন্দের ব্যক্তিদের প্যানেল আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেছেন। অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, শেখ গোলাম মাহবুবের এই সিন্ডিকেটের অন্য সদস্যরা, যাদের মধ্যে, তার ভাই-বোন এবং একাধিক সহযোগী রয়েছেন, তারা বিভিন্ন আদালতের বিশেষ প্রভাব বিস্তার করতেন। তার বোন ফাতিমা আক্তারকে নির্ধারিত সিভিল কমিশনার পদে নিয়োগ দিয়ে মামলার ফলাফলে হস্তক্ষেপ করা হতো। এ ধরনের নিয়োগগুলো বিচারকদের ওপর প্রভাব বিস্তার এবং রায়ে প্রভাবিত করার মাধ্যমে আর্থিক সুবিধা গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে নোটিশ প্রেরণকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফয়সাল হোসেন বলেন, কীভাবে এই অনিয়ম দীর্ঘদিন ধরে নিরবিচ্ছিন্নভাবে পরিচালিত হলো? এই সিন্ডিকেটটি শুধু একক কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে ক্ষতিগ্রস্ত করেনি, এটি জনগণের জন্য ন্যায়বিচার পাওয়া কঠিন করে তুলেছে এবং জনগণের আস্থাকে দুর্বল করেছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রচেষ্টা হলো, এই অপব্যবহার এবং ক্ষমতার অপচয়ের ব্যাপারে উপযুক্ত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া এবং এসব অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করা। এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানাচ্ছি যেন তারা দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।

অ্যাডভোকেট ফয়সাল হোসেন বলেন, জনগণের ন্যায়বিচার এবং আমাদের বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সকলের। আমরা চাই এই ঘটনার যথাযথ তদন্ত হোক এবং যেন আদালত পাড়ায় সত্যিকারের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা যায়।

এসএস//