ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের প্রসঙ্গ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:৫১ পিএম, ২৯ অক্টোবর ২০২৪ মঙ্গলবার

সম্প্রতি আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের বিষয়টি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে উঠে এসেছে। প্রতিক্রিয়ায় পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার জানান, বাংলাদেশের জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতার মতো মৌলিক স্বাধীনতা চর্চায় বিশ্বাস করে যুক্তরাষ্ট্র।

স্থানীয় সময় সোমবার (২৮ অক্টোবর) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।

সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক জানতে চান, বাংলাদেশে সন্ত্রাসবিরোধী আইন ব্যবহার করে ছাত্রলীগ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার জন্য গ্রেফতার করেছে। তারা সম্প্রতি এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ করেছে। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা ও রাজনৈতিক মত প্রকাশের ওপর এমন নিষেধাজ্ঞার প্রভাবকে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে দেখে? বাংলাদেশে ন্যায্য রাজনৈতিক প্রক্রিয়া ও নাগরিক স্বাধীনতাকে সমর্থন করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কী পদক্ষেপ নেবে?

এর জবাবে মিলার বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের জনগণের মত প্রকাশ, সমাবেশের স্বাধীনতার মতো মৌলিক স্বাধীনতা চর্চায় বিশ্বাস করি। বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন দল যেই থাকুক না কেন, আমাদের বিশ্বাস এটিই ও আমরা এই মঞ্চ থেকে তা বহুবার স্পষ্ট করেছি।’ 

সংবাদ সম্মেলনে ২৫২ জন এসআই বহিষ্কারের বিষয়টি নিয়েও মিলারের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়। ওই সাংবাদিক প্রশ্ন ছিল, বাংলাদেশে ২৫২ জন ট্রেইনি পুলিশ সাব-ইন্সপেক্টরকে (এসআই) চূড়ান্ত নিয়োগ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, তাদের মধ্যে যত হিন্দু ট্রেইনি এসআই ছিলেন, তাদের সবাইকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ধর্মীয় বৈষম্যের বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কী কোনো প্রতিক্রিয়া আছে?

এর জবাবে মিলার বলেন, ‘আমি এই বিষয়ক প্রতিবেদনটি দেখিনি। তবে আমরা বাংলাদেশে বা বিশ্বের যেকোনো জায়গায় যে কোনো ধর্মীয় বৈষম্যের বিরোধিতা করব।’

তাকে আবারও প্রশ্ন করা হয়, স্টেট ডিপার্টমেন্ট কীভাবে বাংলাদেশের সরকারি চাকরিতে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বৈষম্যহীন নিয়োগের অনুশীলন সমর্থন করার জন্য বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করছে? 

মিলার বলেন, ‘এ প্রসঙ্গে আমি আগে যা বলেছি, তার সঙ্গে নতুন কিছু যুক্ত করার নেই।’

এএইচ