স্কুলে ভর্তিতে মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটা বাদ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:২০ পিএম, ২৯ অক্টোবর ২০২৪ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৩:২৪ পিএম, ২৯ অক্টোবর ২০২৪ মঙ্গলবার
সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রে ৬৮ শতাংশই কোটা। এর মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যার জন্য ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত। এ কোটায় এবার শিক্ষার্থী না পাওয়া গেলে মেধাতালিকা থেকে এ আসনে ভর্তি করতে হবে। অর্থাৎ নাতি-নাতনি কোটা বাদ থাকছে।
এবার দেশের সব সরকারি-বেসরকারি বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির ক্ষেত্রে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী বাছাই করা হবে। লটারিতে শিক্ষার্থী বাছাই হলেও কোটার কারণে নানা সমস্যায় পড়েন অভিভাবকরা।
তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধীন দপ্তর-সংস্থাগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১ শতাংশ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা ১০ শতাংশ, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা ২ শতাংশ, অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর যমজ ও সহদোর ভাই-বোন ৫ শতাংশ কোটায় সংরক্ষিত আসনে ভর্তির সুযোগ পাবে।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে জারি করা ভর্তি নীতিমালায় এ সংশোধনী আনা হয়েছে। এতদিন বীর মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা এবং পুত্র-কন্যা পাওয়া না গেলে নাতি-নাতনিদের ভর্তির জন্য ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত রাখার নিয়ম ছিল। তবে নতুন সিদ্ধান্ত হলো বীর মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যার ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) কর্মকর্তারা জানান, স্কুলে ভর্তি হয় সাধারণত ৬ থেকে ১৩ বছরের শিক্ষার্থীরা। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এমন বয়সী সন্তান খুবই কম। সেক্ষেত্রে ৫ শতাংশ কোটার প্রায় পুরোটাই ফাঁকা থাকতে পারে।
সেক্ষেত্রে সেখানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ মিলবে।
এএইচ