যুক্তরাষ্ট্রে ভোটের লড়াই: জনমত জরিপে কে এগিয়ে?
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:৪৫ এএম, ৩১ অক্টোবর ২০২৪ বৃহস্পতিবার
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে শেষ সময়ে প্রচারণা বেশ জমে উঠেছে। নির্বাচনে লড়ছেন রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস। আগামী ৫ নভেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সবচেয়ে বেশি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে উইসকনসিন, মিনেসোটা, মিশিগান এবং নর্থ ক্যারোলাইনায়। এসব দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যের মধ্যে মিশিগানে কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়-পরাজয় নির্ভর করছে মুসলিম ভোটারদের ওপর।
যুক্তরাষ্ট্রে মোট জনসংখ্যার দুই থেকে তিন শতাংশ মুসলমান। সর্ববৃহৎ মুসলিম সংগঠন কাউন্সিল অন আমেরিকান ইসলামিক রিলেশন্স-কেয়ারের তথ্য অনুযায়ী এখানে রেজিস্টার্ড মুসলিম ভোটারের সংখ্যা ২৫ লাখ। অপরদিকে এমগেইস নামে অপর একটি সংগঠনের তথ্য, ২০২০ সালের নির্বাচনে মুসলমান ভোটার ছিল ১৫ লাখ। এদের মধ্যে ৫২ শতাংশ ভোট দেন।
জনমত জরিপগুলোর কোনোটিতে হ্যারিসকে আবার কোনোটিতে ট্রাম্পকে এগিয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। যেমন ৮ হাজার ৮০৭ ভোটারের ভেতর পরিচালিত জরিপে ট্রাম্প ৪৭ শতাংশ এবং হ্যারিস ৫০ শতাংশ জনসমর্থন নিয়ে এগিয়ে আছেন
রয়টার্স ৯৭৫ জন নিবন্ধিত ভোটারসহ মোট ১ হাজার ১৫০ জনের ওপর জরিপ পরিচালনা করে। এই জরিপ অনুযায়ী হ্যারিসের প্রতি জনসমর্থনের হার যেখানে ৪৪ শতাংশ, ট্রাম্পের সেখানে ৪৩ শতাংশ। গত জুলাই থেকে ‘রয়টার্স’ পরিচালিত প্রতিটি জনমত জরিপে কমলা এগিয়ে থাকলেও সেপ্টেম্বর থেকে দেখা যাচ্ছে কমলা ও ট্রাম্পের ভেতর দূরত্ব কমে আসছে।
এদিকে নর্থ ক্যারোলিনায় সম্ভাব্য ভোটদাতাদের ভেতর ২৩-২৬ অক্টোবর নাগাদ পরিচালিত অনলাইনে আরেকটি জরিপে দেখা যায় যে দুই প্রার্থীই ৪৭ শতাংশ জনসমর্থন নিয়ে এ ওর ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছেন আর মাত্র ২ শতাংশ উত্তরদাতা জানিয়েছেন যে তারা তৃতীয় কোনো দলকে ভোট দেবেন এবং ৪ শতাংশ উত্তরদাতা এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেননি।
এদিকে আগাম ভোটপর্বের মধ্যেই কারচুপির অভিযোগ উঠল আমেরিকায়। ব্যালট চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হল প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টির এক নেতাকে!
গ্রেপ্তারকৃত নেতার নাম ল্যারি স্যাভেজ। ইন্ডিয়ানা প্রদেশ থেকে রিপাবলিকান পার্টির টিকিটে আমেরিকার কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ ‘হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস’-এর নির্বাচনেও লড়েছিলেন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, ইন্ডিয়ানা প্রদেশের ম্যাডিসন কাউন্টিতে একটি ভোটকেন্দ্রে ভোটপর্ব শুরুর আগে ব্যালট পরীক্ষার কাজ চলছিল। সে সময়ই তিনটি ব্যালট নিখোঁজ হয়ে যায়। এছাড়া দেশটির ওরেগন ও ওয়াশিংটনে দুটি ব্যালট বাক্সে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে কয়েক শ কাস্ট করা ভোট নষ্ট হয়ে গেছে।
এসএস//