ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

অস্থির আলুর বাজার, পেঁয়াজের দামেও ঝাঁজ 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:৩৬ পিএম, ১ নভেম্বর ২০২৪ শুক্রবার | আপডেট: ০৫:৪৭ পিএম, ১ নভেম্বর ২০২৪ শুক্রবার

অস্বস্তি কাটছেই না নিত্যপণ্যে। মাঝেমধ্যে দু-একটি পণ্যের দাম কিছুটা কমলেও সপ্তাহ ব্যবধানে আবার যা তাই। শীতের আগমনী বার্তায় বাজারে সবজির দাম কমলেও ঠিক একই মুহূর্তে পেঁয়াজের ঝাঁঝ আবারও বেড়েছে। ১৫০ টাকা ছাড়িয়েছে দেশি পেঁয়াজের কেজি । দুই সপ্তাহের মধ্যে বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম ৩৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। পাশাপাশি বেড়েছে আমদানি করা পেঁয়াজের দামও। এ ছাড়া বাজারে আলুর দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত। বাজারে শীতের সবজি নতুন আলুরও দেখা মিলেছে। এই সবজির দামও আকাশছোঁয়া।

শুক্রবার (১ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে ভালো মানের প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ এখন ১৫০–১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অবশ্য সাধারণ মানের দেশি পেঁয়াজ আরও ১০ টাকা কমে পাওয়া যায়। গত সপ্তাহেও দেশি পেঁয়াজের কেজি ছিল ১২৫–১৪০ টাকা। অন্যদিকে বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি এখন ১১০–১২০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ১০–২০ টাকা কম ছিল।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কমেছে। অতিবৃষ্টির কারণে চাষ বিঘ্নিত হওয়ায় বাজারে মুড়িকাটা পেঁয়াজের সরবরাহ আসতে দেরি হবে। অন্যদিকে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম আগের তুলনায় বেশি। এসব কারণে বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে।

এদিকে বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি আলু ৬০-৬৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পাড়ামহল্লার দোকানে এর দাম আরও পাঁচ টাকা বেশি ছিল। দুই সপ্তাহের মধ্যে আলুর কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ৫-১০ টাকা। বিক্রেতারা জানান, এখন পাইকারিতেই প্রতি কেজি আলু ৫৬-৫৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শীতের আগমনী বার্তায় বাজারে মিলেছে শীতকালীন সবজির দেখা। খুচরা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ছোট সাইজের ফুলকপি প্রতি পিস ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, বাঁধাকপিও প্রতি পিস ৫০ টাকা। এছাড়া লম্বা বেগুন প্রতি কেজি ৬০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, করোলা ৮০ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সবচেয়ে বেশি দামি সবজির তালিকায় রয়েছে শিম, গাজর আর টমেটো। গাজর প্রতি কেজি ১৮০ টাকা, শিম প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়, টমেটো ১৬০ টাকা। গোল বেগুন, কাঁকরোলের কেজিও ১০০ টাকার ঘরে।

এছাড়া চিচিঙ্গা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, কচুর লতির কেজি ৮০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৭০ টাকা, গাজর ১৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৬০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, ধুন্দুল ৬০ টাকা, কচুর মুখি ৬০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৫০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে বাজারে সব ধরনের মাছের দামই বাড়তি। বাজারে প্রতি কেজি পাঙাশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়, কাতল ৩২০ থেকে ৩৮০ টাকা, চাষের কই ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০ টাকা, শিং মাছ ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, গলসা কেজি ৬০০ টাকা, ট্যাংরা প্রতি কেজি ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পাবদা প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, রুই ৩৬০ টাকা, সরপুঁটি ৩০০ টাকা, রূপচাঁদা ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা, চিংড়ি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বোয়াল প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

দুই সপ্তাহ আগেও ডিমের বাজার ছিল অস্থির। প্রতি ডজন ডিম ১৬০-১৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সরকার দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার পর এ ভোগ্যপণ্যটির দাম কমে ১৫০-১৫৫ টাকায় নেমেছে। তবে এ দাম সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি।

এদিন ব্রয়লার মুরগি ১৯০ থেকে ২০০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩০০-৩২০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। যা গত সপ্তাহেও একই দাম ছিল।


এসএস//