গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ৫০ শিশুসহ নিহত ৮৪
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:৫৫ এএম, ২ নভেম্বর ২০২৪ শনিবার | আপডেট: ০৯:৫৮ এএম, ২ নভেম্বর ২০২৪ শনিবার
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের বর্বরতা অব্যাহত রয়েছে। গাজার উত্তরাঞ্চলে দুটি বহুতল আবাসিক ভবনে ইসরাইলি হামলায় ৮৪ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৫০ জনের বেশি শিশু রয়েছে।
শুক্রবার রাতে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে এ তথ্য।
এতে বলা হয়, ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে গত ২৪ ঘণ্টায় গাজা উপত্যকায় নিহত হয়েছেন ৮৪ জন। নিহতদের মধ্যে ৫০ জনই শিশু এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক; এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ১৮৬ জন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নিহত এবং আহতদের সংখ্যা আরও বেশি; কারণ যারা ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন, লোকবল ও উপকরণের অভাবে তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না।
ওই দুটি বহুতল আবাসিক ভবনে ১৭০ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন। ওই এলাকাটি অবরুদ্ধ করে ইসরাইল বাহিনীর অব্যাহত বোমা হামলার কারণে সেখানে উদ্ধারকর্মীরা যেতে পারছেন না। ওই এলাকায় কোনো ধরনের স্বাস্থ্য পরিষেবা কিংবা ত্রাণসহায়তা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
শুক্রবারের হতাহতের পরিসংখ্যানের জেরে গত এক বছরে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪৩ হাজার ২৫৯ জনে এবং আহত হয়েছেন মোট ১ লাখ ১ হাজার ৮২৭ জন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস এবং তাদের মিত্রগোষ্ঠী প্যালেস্টাইনিয়ান ইসলামিক জিহাদের ১ হাজার যোদ্ধা। হামলায় ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যার পাশাপাশি ২৪০ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে যায় যোদ্ধারা।
আকস্মিক এই হামলার পর ওইদিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী, যা এখনও চলছে। এ অভিযানে গত ১৩ মাসে যারা নিহত হয়েছেন, তাদের ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু।
জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক বিশ্ব এবং তিন মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু সেসব চেষ্টা সফল হচ্ছে না। কারণ অভিযান বন্ধ করার জন্য ইসরায়েলকে নিয়মিত আহ্বানও জানানো হলেও তেল আবিব তাতে কর্ণপাত করছে না।
ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর আগে গাজা উপত্যকার জনসংখ্যা ছিল প্রায় ২২ লাখ। অভিযানের গত এক বছরে গাজার বাসিন্দাদের প্রায় সবাই বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এছাড়া ইসরায়েলি বাহিনীর বাধার কারণে সেখানে খাদ্য, সুপেয় পানি ও ওষুধের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের গুরুতর সংকট দেখা দিয়েছে। জাতিসংঘের মতে, গুরুতর মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছেন গাজার ফিলিস্তিনিরা।
এএইচ