ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

বার্সেলোনার বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে চায় কৃষ্ণারা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:৪১ পিএম, ২ নভেম্বর ২০২৪ শনিবার

প্রধান উপদেষ্টা ড.ইউনূসের সামনে এভাবেই নিজেদের দৈনন্দিন সংগ্রামের কথা তুলে ধরেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় আজ নারী ফুটবলারদের সংবর্ধনা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। ফুটবলারদের চাহিদাগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। সেখানে বার্সেলোনার বিপক্ষে ম্যাচ আয়োজনের অনুরোধ জানিয়েছেন কৃষ্ণা রানী সরকার।

শুরুতেই ড.ইউনূস বলেন, ‘এই সাফল্য অর্জন করার জন্য আমি সমগ্র জাতির পক্ষ থেকে আপনাদেরকে অভিনন্দন জানাই। জাতি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমাদের দেশের মানুষ সাফল্য চায়। আপনারা সেই সাফল্য এনে দিয়েছেন। ’

সংবর্ধনা দেওয়ায় প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়ে সাবিনা বলেন, ‘অনেক বাধা পেরিয়ে আমরা এই পর্যায়ে এসেছি। শুধু নারী ফুটবল দলই নয়, বাংলাদেশের সাধারণ নারীরাও অনেক সংগ্রামের মুখোমুখি হয়। ’

২০০৯ সালে ক্যারিয়ার শুরু করে সাবিনা আগের প্রজন্মের অবদানের কথা তুলে ধরতেও ভুল করেননি। তারা ফুটবলকে প্যাশন হিসেবে নেওয়ার সাহস দেখিয়েছেন বলেই আজ এই সাফল্য এসেছে। সতীর্থদের সংগ্রামের গল্প বলতে গিয়ে একটা সময় আবেগী হয়ে পড়েন সাবিনা।  

বিশেষ করে মারিয়া মান্ডার কথা। ময়মনসিংহের কলসিন্দুর গ্রাম থেকে উঠে আসা এই মিডফিল্ডার অল্প বয়সেই হারান বাবাকে। মারিয়ার গ্রাম থেকেই আরও পাঁচজন ফুটবলার অংশ নিয়েছেন সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে।

মনিকা চাকমাও তুলে ধরেন খাগড়াছড়ির দুর্গম উপজেলা লক্ষ্মীছড়ি থেকে উঠে এসে তার ফুটবলার হওয়ার গল্প। দিনাজপুর জেলার নিজ গ্রাম রানীশংকৈলের দুর্বল অবকাঠামোর বর্ণনা দিয়েছেন মিডফিল্ডার স্বপ্না রানি।

এরপর কৃষ্ণা জানিয়েছেন, ঢাকায় আবাসন ব্যবস্থা না থাকায় তাদের কী সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। এছাড়া এশিয়ার বাইরে প্রীতি ম্যাচ আয়োজনের আহ্বান জানান তিনি, বিশেষ করে চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ী বার্সেলোনার সঙ্গে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের কোচ পিটার বাটলার ও ম্যানেজার মাহমুদা আক্তার। উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও।

ফুটবলারদের ব্যক্তিগত আশা-আকাঙ্ক্ষা, সংগ্রাম এবং চাহিদার কথা আলাদা কাগজে লিখে পাঠাতে বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘দ্বিধাহীন থেকে আপনারা যা খুশি লিখতে পারেন। যদি এখন কিছু বলতে চান, সেটাও বলতে পারেন। আমরা আপনাদের দাবি পূরণ করার চেষ্টা করব। এখন যদি কিছু করা যায়, তবে আমরা এখনই তা করব। ’

এসএস//