শ্রীলংকার কাছে সেমিফাইনালে হেরে বাংলাদেশের বিদায়
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:৩৪ পিএম, ৩ নভেম্বর ২০২৪ রবিবার
হংকং সিক্সেসের ফাইনালে ফাইনালে ওঠা হলো না বাংলাদেশের।সেমিফাইনালে বাংলাদেশকে ৩ উইকেট ও ১ বল হাতে রেখেই হারাল শ্রীলঙ্কা। এই হারে আসর থেকে বিদায় নিলেন সাইফউদ্দিনরা। আর ফাইনালে জায়গা করে নিল লংকানরা। প্রথম সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে পাকিস্তান।
রোববার (৩ নভেম্বর) টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৬ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১০৩ রান করে বাংলাদেশ। ১০৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শ্রীলঙ্কার খুব একটা বেগ পেতে হলো না। জবাবে ৫.৫ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়েই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় শ্রীলঙ্কা।
এদিন আগে ব্যাট করা বাংলাদেশ ভালো সূচনা পেয়েছিল জিশান আলম ও আব্দুল্লাহ আল মামুনের ব্যাটে। ২ ওভারের আগেই ৩৮ রান যোগ হয় বাংলাদেশের স্কোরকার্ডে। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে সামারাকুন ফেরান মামুনকে। ৪ বলে ১৬ রান করে বিদায় নেন তিনি।
পরের ওভারে জিশানও বিদায় নেন। ১১ বলে ১ চার ও ৫ ছয়ে ৩৬ রান করেন এই তরুণ ওপেনার। রতনায়কের ওভারের পরের বলে ইয়াসির আলিও বিদায় নিলে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের রান তখন ৫৮।
পঞ্চম ওভারে আবু হায়দারকেও ফেরান রতনায়েকে। ৬ বলে ৩ ছয়ে ১৮ রান করেন তিনি। সেই ওভারের পঞ্চম বলে সোহাগ গাজীও বিদায় নেন। ২ বলে ৬ রান করেন তিনি। শেষ উইকেটে সাইফউদ্দিনের একাই খেলেন, কিন্তু শেষ ওভারে পর্যাপ্ত রান বের করতে পারেননি। বিমুক্তির সেই ওভারে মোটে ১৪ রান নিতে পারেন তিনি। ১২ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন সাইফ।
রতনায়েকে ২ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করেন। সামারাকুন ১ ওভারে ২৪ রান দিয়ে বাকি উইকেটটি শিকার করেন।
জবাবে ব্যাট করতে নামা শ্রীলঙ্কা ঝড় তোলে। সাইফের করা প্রথম ওভারে ৬টি চার মেরে ২৫ রান তোলেন সান্দুন ভেরাকোড্ডি। ঝড় তোলা এই ওপেনার মাত্র ১৬ বলে ৭ চার ও ৩ ছয়ে অর্ধশতক পূর্ণ করে রিটায়ার্ড হার্ট হন।
তৃতীয় ওভারে আরেক ওপেনার ধনাঞ্জয়া লাকশান আবু হায়দারের বলে বিদায় নেন। ৬ বলে ২৪ রান করেন তিনি।
পঞ্চম ওভারে জিশান আলম জোড়া উইকেট শিকার করে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন। লিহারু মাধুশঙ্কা (৩) এবং সামারাকুনকে ৯৬) ফেরান তিনি। তবে পরের ওভারে রতনায়েকে (৩) এবং বিমুক্তি (১২) ম্যাচ জিতিয়েই ফেরেন।
জিশান ১ ওভারে মাত্র ৪ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার করেন। আবু হায়দার ১ ওভারে ২০ রান দিয়ে বাকি উইকেটটি পান।
এমবি