ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৫ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ২০ ১৪৩১

নিজেদের মাঠে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডুবল ভারত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০২:০৪ পিএম, ৩ নভেম্বর ২০২৪ রবিবার | আপডেট: ০২:১৩ পিএম, ৩ নভেম্বর ২০২৪ রবিবার

মুম্বাই টেস্টে ভারতকে মাত্র ১৪৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। সেই ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেও ম্যাচটি জিততে পারলো না ভারত। তিন ম্যাচের সিরিজের সবকটিতে হেরে নিজেদের মাটিতে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডুবলো ভারত।

প্রোটিয়াদের বিপক্ষে এর আগে ভারত হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে। এবার তাদের আরও বড় তিন ম্যাচের সিরিজে তিক্ত পরাজয়ের গ্লানিতে ডোবাল টম ল্যাথামের কিউই শিবির।

শেষ টেস্ট রোহিত শর্মার দলকে ২৫ রানে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। বেঙ্গালুরুতে প্রথম ম্যাচে ৮ উইকেটে জয়ের পর কিউইরা পুনেতে ১১৩ রানে জিতেছিল। এর মধ্য দিয়ে ২৪ বছর পর নিজেদের দুর্গে টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাই হলো স্বাগতিকরা।

নিউজিল্যান্ডকে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭৪ রানে অলআউট করে দিয়ে ১৪৭ লক্ষ্য পায় ভারত। রান তাড়া করতে নেমে টপাটপ উইকেট হারিয়ে ফেলে ভারত। রোহিত শর্মাকে ফিরিয়ে শুরুটা করেন ম্যাট হেনরি। এরপর ব্যাটন হাতে নেন অ্যাজাজ প্যাটেল। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের স্পিন পিচের ষোলকলা সুবিধা নিয়ে এই বাঁহাতি স্পিনার শুভমান গিল ও বিরাট কোহলিকে সাজঘরে পাঠান। দুজনই ১ রান করে তুলেন। 

আগের ইনিংসে গিল ৯০ রান করলেও কোহলি আউট হয়েছিলেন মাত্র ৪ রানে। যশ্বসী জয়সওয়াল ততক্ষণ আশার বাতি হয়ে টিকে ছিলেন। তাকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন গ্লেন ফিলিপস।

অ্যাজাজ প্যাটেল নেন সরফরাজ খানের উইকেটও। যদিও এরপর হাল ধরেন রিশভ পন্ত। ৫ উইকেট পড়ার পর রবীন্দ্র জাদেজাকে নিয়ে জুটি বাধেন তিনি। লাঞ্চ বিরতি শেষে আউট হন জাদেজা। ২২ বলে ৬ রান করে অ্যাজাজের বলে উইল ইয়ংকে ক্যাচ দেন তিনি। পন্ত তখনও সংগ্রামে অবিচল থাকেন।

প্যাটেলের অফস্টাম্পের বাইরে ফেলা একটি বল এগিয়ে খেলতে যান পন্ত। দ্রুত টার্ন নিয়েই বল ঢুকে যায় পায়ের দিকে। ব্যাট-প্যাডের পাশ দিয়ে ভেসে যাওয়া বল তালুবন্দী করেন টম ব্লান্ডেল। রিভিউ নেবেন কি না, দোটানায় ছিলেন টম লাথাম। শেষ মুহূর্তে গিয়ে রিভিউ নেন তিনি। রিভিউয়ে দেখা যায় বল প্যাডে লাগার আগে ব্যাট ছুঁয়ে গেছে। আম্পায়ারের সঙ্গে কিছুক্ষণ বোঝাশোনা সেরে পন্তকে মাঠ ছাড়তে হয়। 

৫৭ বলে ৬৪ রান করেন তিনি। তখন ভারতের জয়ের জন্য দরকার ছিল আর ৩৭ রান। এরপর আর ভারতকে পথ দেখাতে পারেননি ওয়াশিংটন সুন্দর, রবীচন্দ্রন অশ্বিন, আকাশ দীপ ও মোহাম্মদ সিরাজ।

নিজেদের বানানো স্পিন ফাঁদে আটকে ভারতীয় ইনিংস থেমেছে ১২১ রানে। 

হ্যান্সি ক্রনিয়ের দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ২০০০ সালে সর্বশেষ ঘরের মাঠে টেস্টে ধবলধোলাই হয়েছিল শচীন টেন্ডুলকারের ভারত। এরপর নিজের ঘরে হোয়াইটওয়াশ তো দূরের কথা, পরবর্তী দুই দশকেই কেবল একটি টেস্ট সিরিজ হারে। সেই হারের পর সময়ের হিসাবে এক যুগ এবং ১৮ সিরিজ অপরাজেয় ছিল রোহিত-কোহলিরা।

সেই বৃত্ত তো ভেঙেছেই, ২৪ বছর হোয়াইটওয়াশ না হওয়ার কীর্তিও তছনছ করে দিয়েছে নিউজিল্যান্ড।

এএইচ