রংপুরে জোড়া খুনের মামলায় দুই ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড
রংপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৪:১৫ পিএম, ৩ নভেম্বর ২০২৪ রবিবার
রংপুরের পীরগজ্ঞে চাচা রাজ্জাক মণ্ডল ও ভাতিজা রফিকুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দুই আপন ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড ও এক আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার দুপুরে রংপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ফজলে খোদা মোঃ নাজির এ রায় প্রদান করেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের কঠোর পুলিশী পাহারায় আদালতের হাজতখানায় নেয়া হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন হারুন মন্ডল এবং তার ভাই আব্দুর রশীদ ওরফে নান্নু মণ্ডল। অপর আসামি আকমল হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৮ জুলাই সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পীরগজ্ঞ উপজেলার দুবরাজপুর মজিলা তাহেরপুর গ্রামে নিজের জমিতে আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডল ও তার ছোটভাই সামসুল মন্ডল স্যালো মেশিন নিয়ে পানি সেচ দিতে যায়। আসামিরা পুর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তাদের জমিতে সেচ দিতে বাঁধা দেয়। এসময় আসামিরা কোদাল দিয়ে উপযূপরি কুপিয়ে তাদের গুরুতর আহত করে।
পরে তাদের দুজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুর রাজ্জাক মন্ডলকে মৃত ঘোষনা করে। অন্যদিকে আহত রফিকুল ইসলামকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সেখানে চিকিৎসাধিন থাকা অবস্থায় রফিকুল ইসলামও মারা যায়।
এ ঘটনায় নিহত আব্দুর রাজ্জাক মন্ডলের মেয়ে আরিফা বেগম বাদী হয়ে তিন আসামি হারুন মন্ডল , রশীদ মন্ডল ও আকমল হোসেনের বিরুদ্ধে পীরগজ্ঞ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তদন্তকালে পুলিশ আব্দুর রাজ্জাক মন্ডল ও তার ভাতিজা রফিকুল ইসলামকে হত্যা করার অভিযোগ প্রমাণ পেয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জসীট দাখিল করে।
মামলায় ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে আসামি হারুন মন্ডল ও তার ভাই রশীদ মন্ডল ওরফে নান্নুকে মৃত্যুদণ্ড এবং আসামি আকমল হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দেন।
এ ব্যাপারে সরকার পক্ষে আইনজিবী পিপি আফতাব উদ্দিন আহাম্মেদ এ্যাডভোকেট জানান, প্রকাশ্য দিবালোকে চাচা-ভাতিজাকে কোদাল দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে বিজ্ঞ বিচারক দুই আসামিকে মৃত্যুদন্ড ও এক আসামির যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন। ন্যায় বিচার পেয়েছি বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে রায় ঘোষণার সময় আসামিপক্ষের কোন আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।
এএইচ