গাজীপুরে ৬ কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:৩৩ পিএম, ৩ নভেম্বর ২০২৪ রবিবার
গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি এলাকার তুসুকা গ্রুপের অধীনে পরিচালিত ৬টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারী-শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং কারখানার সম্পত্তি ও জানমাল রক্ষার স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
রোববার (৩ নভেম্বর) সকালে কারখানার সামনে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নোটিশ সাঁটিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬-এর ১৩(১) ধারা মোতাবেক কারখানার সব কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
বন্ধ কারখানা হলো, তুসুকা জিন্স লিমিটেড, তুসুকা ট্রাউজার্স লিমিটেড, তুসুকা প্রসেসিং লিমিটেড, তুসুকা প্যাকেজিং লিমিটেড, তুসুকা ডেনিম লিমিটেড এবং তুসুকা ওয়াশিং লিমিটেড।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, শনিবার থেকে শ্রমিকদের একটি দল কিছু অজ্ঞাতনামা বহিরাগতদের সঙ্গে নিয়ে অযৌক্তিক দাবিতে বেআইনি ধর্মঘট শুরু করে।
কারখানা কর্তৃপক্ষ নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, গত শনিবার শ্রমিকদের একটি দল অজ্ঞাতনামা বহিরাগতদের সঙ্গে নিয়ে অযৌক্তিক দাবিতে বেআইনি ধর্মঘট শুরু করে। ওই দিন সকালে শ্রমিকরা কর্মস্থল ত্যাগ করে কারখানার প্রধান গেটে এসে জড়ো হয় এবং অস্থিরতা সৃষ্টি করে। কর্তৃপক্ষ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একাধিকবার শ্রমিকদের কাজে ফেরার আহ্বান জানালেও তারা সেটি অমান্য করে। শ্রমিকদের একটি অংশ অস্থিতিশীল আচরণ প্রদর্শন করে। শ্রমিকদের এমন কর্মকাণ্ড বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬-এর আওতায় অবৈধ ধর্মঘট হিসাবে গণ্য হয়। শ্রমিকদের এমন কর্মকাণ্ডে কারখানার কর্মকর্তা, কর্মচারী ও সম্পত্তির নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ায় তুসুকা গ্রুপের অধীনে পরিচালিত ৬টি কারখানা রোববার (৩ নভেম্বর) সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে তুসুকা গ্রুপের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলে এবং পুনরায় কাজের উপযোগী পরিবেশ তৈরি হলে কারখানাগুলোর পুনরায় খোলার বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ কোনাবাড়ি জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আবু তালেব বলেন, শ্রমিকদের বেশ কিছু দাবি কারখানা কর্তৃপক্ষ মেনে নিলেও তারা কাজে যোগ দেয়নি। যে কারণে কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে নোটিশ দিয়েছে।
শ্রমিকরা জানান, হাজিরা বোনাস, নাইট বিল, টিফিন বিলসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে বিভিন্ন দাবি উত্থাপন করেছিলেন। তবে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা না করেই ধর্মঘটে যাওয়ার বিষয়টি বিতর্কিত হয়ে উঠেছে।
এমবি