ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

কণ্ঠশিল্পী ভূপেন হাজারিকার প্রয়াণ দিবস

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:১০ এএম, ৫ নভেম্বর ২০২৪ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৯:১১ এএম, ৫ নভেম্বর ২০২৪ মঙ্গলবার

আজ ৫ নভেম্বর  মঙ্গলবার। উপমহাদেশের প্রখ্যাত গণসংগীত শিল্পী ভূপেন হাজারিকার প্রয়াণদিবস।  ২০১১ সালের ৫ নভেম্বর মুম্বাইয়ের কোকিলাবেন ধীরুভাই আম্বানি হাসপাতাল ও চিকিৎসা গবেষণা ইনস্টিটিউটে মৃত্যুবরণ করেন ভারতীয় এ কণ্ঠশিল্পী। তার গানে উঠে এসেছে মানবতা, অসাম্প্রদায়িকতা, শোষণ-নিপীড়নের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ প্রতিবাদ।

বাংলা ভাষাভাষী পশ্চিমবঙ্গ, আসাম এবং এই বাংলাদেশে এমন কোনো শিক্ষিত মানুষ পাওয়া যাবে না, যিনি শিল্পী ভূপেন হাজারিকার নাম শোনেননি। তাঁর ‘মানুষ মানুষের জন্য’ গানটি বিবিসির শ্রোতা জরিপে সর্বকালের প্রথম ১০টি জনপ্রিয় গানের মধ্যে স্থান করে নিয়েছিল। শেষ জীবনে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় অনেক আলোচনা–সমালোচনাও হয়েছিল। মৃত্যুর পরেও ভূপেন হাজারিকার গান মানুষকে আগের মতোই মুগ্ধ করে।

ভূপেন হাজারিকার জন্ম ১৯২৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ভারতের আসামে। তার পিতার নাম নীলকান্ত হাজারিকা, মায়ের নাম শান্তিপ্রিয়া হাজারিকা।

মাত্র ১০ বছর বয়স থেকেই গান গাইতে এবং লিখতে শুরু করেন তিনি।

১৯৪২ সালে ভূপেন হাজারিকা গোহাটির কটন কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন। এর পর ১৯৪৪ সালে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পাস করেন এবং পরে ১৯৪৬ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএ পাস করেন। ১৯৫৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন এ শিল্পী।

বাংলাদেশের ‘সীমানা পেরিয়ে’ চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালনা করেন ভূপেন হাজারিকা। এ চলচ্চিত্রের বিখ্যাত গান ‘মেঘ থম থম করে’ এখনও তুমুল জনপ্রিয়। এ ছাড়া ‘মানুষ মানুষের জন্য’, ‘আমি এক যাযাবর’, ‘প্রতিধ্বনি শুনি’, ‘আজ জীবন খুঁজে পাবি’, ‘বিস্তীর্ণ দুপাড়ে’, ‘সাগর সঙ্গমে’, ‘দোলা হে দোলা’, ‘গঙ্গা আমার মা-পদ্মা আমার মা’ এমন বহু জীবনঘনিষ্ঠ গান গেয়েছেন ভূপেন হাজারিকা। 

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিয্দ্ধু চলাকালে এই শিল্পীর গান স্বাধীনতাকামী জনগণের মাঝে যে আশার আলো জাগিয়েছিল তা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। 

২৩তম জাতীয় চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রেষ্ঠ আঞ্চলিক চলচ্চিত্র ‘চামেলী মেমসাহেব’ সিনেমার সংগীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন এ শিল্পী। এ ছাড়া শ্রেষ্ঠ লোকসংগীতশিল্পী হিসেবে ‘অল ইন্ডিয়া ক্রিটিক অ্যাসোসিয়েশন’ পুরস্কার, অসম সরকারের শঙ্করদেব পুরস্কার, দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার, জাপানে এশিয়া প্যাসিফিক আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে রুদালী সিনেমার শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালকের পুরস্কার, পদ্মভূষণ, অসম রত্নসহ আরও অনেক পুরস্কার অর্জন করেন এ শিল্পী।

এমবি