ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০৭ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ২৩ ১৪৩১

মামলার বিষয়ে যা বললেন অপু বিশ্বাস

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৫২ এএম, ৭ নভেম্বর ২০২৪ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১০:৫৬ এএম, ৭ নভেম্বর ২০২৪ বৃহস্পতিবার

প্রতারণার অভিযোগে চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন প্রযোজক সিমি ইসলাম। একই মামলায় আসামি করা হয়েছে আলোচিত-সমালোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম ও জাহিদুল ইসলামকে। গত ২৪ অক্টোবর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলাটি করা হয়।

অপু বিশ্বাসের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসার পর বিষয়টি নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে। এ নিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন এই অভিনেত্রী।

অপু বিশ্বাস বলেন, তিনি বলেন, “আমি যতটুকু জানি তিনি (সিমি) বুদ্ধিমান। তার মাথায় এসব কে ঢোকাচ্ছে, কেন ঢোকাচ্ছে জানি না। তিনি যদি চলচ্চিত্রেই কাজ করতে চান তাহলে এসব নিয়ে কেন বিতর্ক সৃষ্টি করছেন। আর তিনি টাকা কোথায় দিয়েছেন না দিয়েছেন কী সব বানোয়াট কথা ছড়াচ্ছেন।”

তিনি বলেন, “আর পারি না এই মহিলাকে (সিমি ইসলাম কলি) নিয়ে। ওনার তো সবকিছু দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আবার মামলা কীসের! আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। এসব তো ফাজলাম।”

অভিনেত্রী বলেন, “এখানে হিরো আলম এলো কোথা থেকে! এটা সিমিই ভালো বলতে পারবেন। আমি তাকে ঠিকঠাকভাবে চিনিও না। আমি কী উত্তর দিতে পারি বলেন। সে টাকা কোথায় দিয়েছে কেন দিয়েছে— আমি কিছুই জানি না। এখন এসব মনগড়া কথা বলছে কেন।”

অপু আরও বলেন, “অফিসিয়ালি ইউটিউব চ্যানেল নিয়ন্ত্রণ করেন আমার অ্যাডমিন। হয়তো নাম আমার। মালিকানা আমার। কিন্তু আমি এসব নিয়ন্ত্রণ করি না। অন্য সংস্থা দিয়ে চালাই। যদি আমার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হতো তাহলে আমি বলতে পারতাম।”

বিষয়টি নিয়ে অপু কোনো আইনি পদক্ষেপ নিতে চান কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করে তারপর জানাবো।

প্রযোজক সিমি ইসলামের দাবি, তার ইউটিউব চ্যানেল হ্যাক করেছেন অপু বিশ্বাস ও জাহিদুল ইসলাম। বিষয়টি নিয়ে সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন। এরপর চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিবেশক সমিতির মাধ্যমে মীমাংসার চেষ্টাও করেন। কিন্তু কোনো উপায় না পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, তার (সিমি) ইউটিউব চ্যানেলটি হ্যাক করেছেন অপু বিশ্বাস ও জাহিদুল ইসলাম আপন। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যেই সাধারণ ডায়েরি ও প্রযোজক সমিতির মাধ্যমে সুরাহা করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু কোনো সমাধান না পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। 

পাশাপাশি মামলায় আরও অভিযোগ করেন, হিরো আলমের মাধ্যমে সমাধানের নাম করে তার কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা নিয়েছেন অপু বিশ্বাস।

এএইচ