ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

ইতালির স্কুল পাঠ্যবইয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:৫৩ পিএম, ৭ নভেম্বর ২০২৪ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৪:৫৪ পিএম, ৭ নভেম্বর ২০২৪ বৃহস্পতিবার

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান। শুধু বাংলাদেশ নয়, ড. ইউনূসের খ্যাতি বিশ্বজোড়া। তিনি স্থান পেয়েছেন ইতালির অষ্টম শ্রেণির বইয়েও। 

বইটিতে ড. ইউনূসকে বাংলাদেশি একজন অর্থনীতিবিদ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য স্থান পেয়েছে বইটিতে। বইটিতে মুহাম্মদ ইউনূসের একটি হাস্যোজ্জ্বল ছবি স্থান পেয়েছে।

এর আগে নোবেল জয়ী একমাত্র বাংলাদেশি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক কানাডার জাতীয় পাঠক্রমের অংশ হয়। কানাডার ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবই ‘কমপ্লিট কানাডিয়ান কারিক্যুলাম গ্রেড ৭’-তে ড. ইউনূস ও গ্রামীণ ব্যাংককে নিয়ে একটি অধ্যায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়। 

ওই পাঠ্যবইয়ে তুলে ধরা হয়েছে কিভাবে ড. ইউনূস বাংলাদেশের একটি দরিদ্র গ্রামে যান এবং সেখানে এক নারীর সাক্ষাৎ পান, যিনি বাঁশের মোড়া তৈরির পর বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

উল্লেখ্য, ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশি নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদ। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষকতা করতেন। অধ্যাপক ইউনূস ক্ষুদ্রঋণ অর্থনৈতিক ব্যবস্থার জনক হিসেবে সমাদৃত। গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতাও তিনি। মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ ব্যাংক যৌথভাবে ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। ড. ইউনূস বিশ্ব খাদ্য পুরস্কারসহ বহু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন। বর্তমানে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। 

১৯৭৮ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ড. ইউনূস জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সহ প্রায় ১৪৫টি পুরস্কার অর্জন করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে- প্রেসিডেন্ট অ্যাওয়ার্ড (১৯৭৮),রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কার (১৯৮৪), কেন্দ্রীয় ব্যাংক অ্যাওয়ার্ড (১৯৮৫), স্বাধীনতা পুরস্কার (১৯৮৭), আগা খান অ্যাওয়ার্ড (১৯৮৯), কেয়ার পুরস্কার (১৯৯৩), নোবেল পুরস্কার (শান্তি) (২০০৬) ইত্যাদি। 

এসএস//