ভারতে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ, শঙ্কায় বাংলাদেশ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৪৪ পিএম, ৯ নভেম্বর ২০২৪ শনিবার
ভারতে পেঁয়াজের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। এতে করে স্থানীয় ক্রেতারা রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন। পার্শ্ববর্তী দেশে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ হওয়ায় শঙ্কা বেড়েছে বাংলাদেশের ক্রেতাদের মধ্যেও। দেশে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। চড়া দামে বিক্রি হওয়া পণ্যটির দাম নতুন করে আরো ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এদিকে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে গত সপ্তাহে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) পেঁয়াজ আমদানির ওপর থেকে শুল্ক-কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করেছে। কিন্তু কোনোভাবেই কমছে না পণ্যটির দাম।
ভারভীয় গণমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে পেঁয়াজের দাম অনেকটা বেড়েছে। কিছুদিন আগেও যে পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৪০-৬০ রুপিতে বিক্রি হয়েছে, পাইকারি বাজারে এখন তার দাম উঠেছে ৭০-৮০ রুপিতে। ফলে ভোক্তাদের অনেকে সংসার চালাতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন।
দিল্লির একজন ক্রেতা ফায়জা বলেন, মৌসুমের কারণে এখন পেঁয়াজের দাম যখন কমার কথা, তখন উল্টো দাম বেড়ে চলেছে। এক কেজি পেঁয়াজ তিনি ৭০ রুপিতে কিনেছেন বলে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, দামের কারণে আমাদের খাদ্যাভ্যাস ব্যাহত হচ্ছে। আমি সরকারের কাছে অনুরোধ করছি সবজির দাম কমান, বিশেষ করে সেগুলো, যা আমরা প্রতিদিন ব্যবহার করি।’
তবে শুধু দিল্লি নয়, পেঁয়াজের দাম বাড়ছে আরেক বড় শহর মুম্বাইয়েও। সেখানকার ক্রেতারাও উচ্চ মূল্যের চাপে পড়েছেন।
মুম্বাইয়ের একজন ক্রেতা ড. খান এএনআইকে বলেন, পেঁয়াজ ও রসুন উভয়েরই দাম বেড়েছে। এর ফলে প্রতিটি পরিবারকেই অতিরিক্ত অর্থ খরচ করতে হচ্ছে। তিনি জানান, তিনি পাঁচ কেজি পেঁয়াজ কিনেছেন, মোট দাম দিতে হয়েছে ৩৬০ রুপি।
মুম্বাইয়ের আরেকজন ক্রেতা আকাশ বলেন, পেঁয়াজের দাম অনেকটা বেড়ে ৭০-৮০ রুপিতে উঠেছে, যা কিছুদিন আগেও কেজিপ্রতি ৪০-৬০ রুপি ছিল।
রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে।
ডেমরা সারুলিয়া এলাকার বাসিন্দা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা চলছে। বাজারে গেলেই দেখছি কদিন পরপর পণ্যটির দাম শুধু বাড়ছেই। সরকার পেঁয়াজের উপর থেকে শুল্ক-কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করেছে তবুও দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। কবে বন্ধ হবে কেউই বলতে পরছেন না। হতাশা আর শঙ্কা শুধুই আমাদের।
মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, সবজির দামটা একটু কমেছে, মুরগি ও ডিমের দাম এখনো বেশি, তবে আগের চেয়ে কম। কিন্তু পেঁয়াজের দাম যেভাবে বাড়ছে, তাতে খরচের সঙ্গে পেরে উঠছি না।
পেঁয়াজের পাইকারি ব্যবসায়ী মো. ফয়েজ জানান, পেঁয়াজের দাম স্থানীয় হাটেই বেড়ে গেছে। এখন দেশি পেঁয়াজের মজুদ তলানিতে। আর ভারতের পেঁয়াজের দাম বেশি পড়ছে। তাই বাজার চড়া। অপরদিকে বৃষ্টি-বাদলের কারণে এবার আগাম পেঁয়াজ উঠতেও দেরি হচ্ছে। নতুন পেঁয়াজ উঠলে দাম হয়তো কমে আসবে।
এসএস//