ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

১৬০০ মেগাওয়াট থেকে কমিয়ে ৫২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিচ্ছে আদানি 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৫৬ পিএম, ৯ নভেম্বর ২০২৪ শনিবার

বকেয়া ৮০ কোটি ডলার বকেয়া আদায়ে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ আরও কমিয়ে দিয়েছে ভারতের আদানি পাওয়ার। জানা গেছে, ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যে গোড্ডা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সক্ষমতা ১৬০০ মেগাওয়াট। এখান থেকে ঢাকায়  ১৪০০ থেকে ১৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছিলো। ৫ অগাস্টের পর থেকে সরবরাহ কমতে থাকে। 

পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) এক কর্মকর্তার মতে, গত বৃহস্পতিবার সরবরাহ আরও কমিয়ে প্রায় ৫২০ মেগাওয়াটে নামিয়ে আনা হয়।

বাংলাদেশের পাওয়ার গ্রিড অপারেটর ও এ সংক্রান্ত আরও দুটি সূত্র এসব তথ্য রয়টার্সকে জানিয়েছে বলে এক প্রদিবেদনে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমটি এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করে।   

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মাসের শেষ দিকে আদানীর পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে বলা হয় বকেয়া পরিশোধ না করলে সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হবে। পরে এই বক্তব্য থেকে সরে বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত করে তারা। তবে, গত ২ দিন ধরে আদানী ৫২০ মেগাওয়াটের কিছু বেশি বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে।

রয়টার্স আরও জানায়, বাংলাদেশ আদানির জন্য ১৭০ মিলিয়ন ডলারের ঋণপত্র খুলেছে এবং অর্থ পরিশোধ ত্বরান্বিত করেছে।

বিদ্যুৎ সরবরাহ হ্রাস এবং এ বিষয় সম্পর্কে রয়টার্সের প্রশ্নের জবাব দেয়নি আদানি পাওয়ার। তবে আদানি পাওয়ারের একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, বকেয়া পরিশোধের বিষয়টি মাথায় রেখে বাংলাদেশ থেকে চাহিদার ভিত্তিতে পর্যায়ক্রমে বিদ্যুৎ সরবরাহ কমানো হয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশের পাওয়ার গ্রিডের ওয়েব সাইটে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ৭ নভেম্বর রাত ৮ টায় সর্বোচ্চ ৭১৮ মেগওয়াট বিদ্যুত সবরাহ করা হয়। এরপর থেকে ৫শ মেগাওয়াটের কিছু বেশি বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। শনিবার (৯ নভেম্বর) বিকেল ৪ টায় ৫১৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।

এ প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, আদানির যে ব্যাকলগ হয়েছে সেটার জন্য মূলত দায়ী আগের স্বৈরাচারী সরকার। তারা বিশাল অংকের বকেয়া রেখে গেছে। সে কারণে এটা বেড়ে গিয়েছিল। আমরা গত মাসে ৯৭ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছি, যেটা তার আগের মাসের দ্বিগুণ।

অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান গণমাধ্যমে বলেন, আমরা ধীরে ধীরে বকেয়া পরিশোধ করছি এবং কেউ সরবরাহ বন্ধ করলে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা কোনো বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীকে আমাদের জিম্মি করতে দেব না।

বিপিডিবি কর্মকর্তা বলেন, বকেয়া পরিশোধ ত্বরান্বিত করা এবং গত ৭ নভেম্বর আদানি বকেয়া পরিশোধের সময়সীমা তুলে নিলেও বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ ক্রমান্বয়ে কমছে।

এসএস//